আবর্জনা থেকে তৈরি হবে ইট, দড়ি ও জৈব সার, ৩০ কোটি দিয়ে ইনস্টল করা হলো প্লান্ট

বিহারের গয়া শহরে বর্জ্য পর্দাথের জন্য নতুন এক ব্যবস্থাপনা শুরু হচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে নাইলিতে ডাম্পিং ইয়ার্ডে ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফার্মার্স প্রকিউরমেন্ট। গত বুধবার পৌর কর্পোরেশন মেয়র বীরেন্দ্র কুমার প্ল্যান্টটি পরিদর্শন করেছিলেন। তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র মোহন শ্রীবাস্তব, নোডাল অফিসার শৈলেন্দ্র কুমার সিনহা, চিপ স্যানিটেশন ইন্সপেক্টর সত্যেন্দ্র প্রসাদ সহ ডজন কর্পোরেশন কর্মকর্তারা।

ডেপুটি মেয়র মোহন শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এটি বিহার রাজ্যের প্রথম প্রকল্প যা পৌর কর্পোরেশনের সহায়তায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এখন থেকে শহরের বর্জ্য পদার্থ থেকে ইট, দড়ি ও জৈব সার তৈরি করা হবে। মেশিনটি কিভাবে কাজ করবে, আসুন বিস্তারিত জেনে নিন।

মোট ছয়টি মেশিন বসানো হয়েছে। এই মেশিনগুলো থেকে প্রতিদিন ১৫০ টন আরডিএফ বর্জ্য আলাদা করা হবে। ভিজা বর্জ্যের সঙ্গে ৭৫ মিলিমিটার ডাউন সাইজের বর্জ্য মিশিয়ে জৈব সার তৈরি করা হবে। শুকনো বর্জ্য ১০ প্রকারে ভাগ করা হবে। ভেপাল-ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ফার্মার্স প্রকিউরমেন্ট (NACOF)এ শুকনো এবং ভেজা বর্জ্য পরিচালনা করা হবে। এরপর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, মৃত পশুর মৃতদেহের জন্য শ্মশানে একটি মেশিন বসানোর।

QR কোডে পর্যবেক্ষণ করা হবে:
ডেপুটি মেয়র শ্রীবাস্তব বলেছেন, পৌর এলাকার শহরে সমস্ত বাড়ির বাইরে QR কোড বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ঝাড়ুদাররা বাড়ি থেকে আবর্জনা তুলে, কিউআর কোড স্ক্যান করবেন। স্ক্যান করার সাথে সাথে কন্ট্রোল রুমে একটি সংকেত পাওয়া যাবে, কোন বাড়ি থেকে আবর্জনা তোলা হয়েছে। আলাদা মনিটরিং রুমও করা হবে। যেখান থেকে ময়লা আবর্জনা তোলা হয়নি তার তথ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, ঝাড়ুদারদের দিয়ে থাকবে। ডাম্পিং ইয়ার্ডে ছড়িয়ে থাকা ময়লা ফেলার ফলে আশেপাশে এলাকার বায়ুদূষণও কমবে। গ্রীষ্মকালে প্রায়শই আবর্জনার স্তূপে আগুন লেগে যায়। যার কারণে আশেপাশের অনেক গ্রামে দূষিত বাতাস ছড়িয়ে যায়। এরফলে গ্রামবাসীরা প্রতি বছরই সমস্যায় ভুগে থাকে। তবে এখন এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে এবং জৈব সার খুবই কম দামে পাওয়া যাবে।