ইন্টারনেটের যুগে বাচ্চাদের শিখিয়ে দিন ৫ টি অভ্যাস, জীবন হয়ে যাবে একেবারে সহজ

বাঙ্গালীদের বহু প্রচলিত এক প্রবাদ আছে— স্বাস্থ্যই সম্পদ। বর্তমানে মানুষের পরিবর্তিত ও অনিয়মিত জীবনযাপনের জন্য মানুষের শরীর‌ হয়েছে অনেক রোগের আবস্থল। বিশ্বব্যাপী নতুন নতুন রোগের উদ্ভব দেখা যাচ্ছে। সেই কথা মাথায় রেখে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অর্থাৎ শিশুদেরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। মানুষের শৃঙ্খলাহীন জীবনযাপন ও অনিয়মিত খাবার খাওয়া খাওয়া হলো 95% এই রোগের কারণ। কখনো কখনো কিছু মা-বাবা অতিরিক্ত স্নেহবসত হয়ে বাচ্চাদের কে প্রশ্রয় দিয়ে তাদের জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে নেতিবাচক পরিবর্তন ঘটায়। যা তাদের সারা জীবনের জন্য বড় একটা শাস্তি হয়ে দাড়ায়।

খাদ্যাভ্যাসে নিয়ম

শৈশব থেকেই শিশুকে সুস্থ জীবনযাপন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস শেখাতে হবে যাতে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সাথে সাথে তারা একটা সুস্থ ও সুন্দর জীবন অতিবাহিত করতে পারে। জন্য প্রত্যেক অভিভাবকের উচিৎ এই পাঁচটি অভ্যাস তাদের বাচ্চাকে শেখানো। দিনের সর্বপ্রথম খাবারটিকে খুব গুরুত্বপূর্ণ খাবার বলে মনে করা হয়। প্রত্যেক শিশুর উচিত এই সকালের খাবারকে , নিত্যভাসে পরিণত করা এবং প্রত্যেক মা-বাবার উচিত তাদের বাচ্চাকে সকালে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করানো। সাথে এটাও লক্ষ্য রাখা তারা যেন পুষ্টিকর খাবার খায় কোন রকম ফাস্টফুড বা জাংক ফুড না খায়।

 পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

প্রত্যেক মা-বাবার উচিত এটাও লক্ষ্য করা যাতে প্রত্যেক বাচ্চা সকালে নিয়ম করে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করা,স্নান করা, খাবার খাওয়া এগুলো নিয়মিত করে। তিন-চার বছর বয়সে ভালো অভ্যাস গুলি শেখানো উচিত, কারণ এই সময় তারা যা শেখে তা সারা জীবনের অভ্যাসে পরিনত হয়। যেমন ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করা, নিয়মিত স্নান করা, খাবার খাওয়ার আগেই খাবারটি কে এবং হাত পরিষ্কার করা, নিজের ব্যক্তিগত জিনিস যেমন টুথব্রাশ সাবান এগুলো অন্য কারো সাথে ভাগ না করা, এছাড়া মলদ্বার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, টয়লেট ব্যাবহার করার পর জল ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়া — এই জিনিস গুলো শৈশব থেকেই শেখানো উচিৎ।

খেলাধূলার প্রয়োজনীয়তা

কম্পিউটার-গেমস ও মোবাইল ফোনের ব্যাবহার বাড়ায় বেশিরভাগ শিশু বাইরে খেলতে যায় না, অনেক বয়স্ক মানুষ আছে তারাও যেতে পারেন না। কিন্তু এটা একদমই উচিত নয় প্রত্যেক মানুষের উচিত দিনে অন্তত একবার হলেও বাইরে সময় কাটানো। কারণ ঘরের থেকে বাইরে সময় কাটানো অনেক উপকারী। এটাও লক্ষণীয় যে বাইরে খেলাধুলাকারী শিশু বাড়িতে থাকা শিশুদের স্বাস্থ্য অনেক বেশি ভালো থাকে। তাদের আর আলাদা করে যোগ ব্যায়াম চর্চা করতে হয় না কারণ খেলাধুলার মাধ্যমে তাদের ব্যায়াম হয়ে যায়।

পরিবারের সাথে সময় কাটানো

এটাও দেখা উচিত যে বাচ্চারা পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছে কিনা। দেখা গেছে যেসব বাচ্চারা পরিবারের সাথে খাবার খায় তারা খুব সহজেই পুষ্টিকর খাবার খেতে পারে। সারা দিনের ঘটনা তার পরিবারের কাছে প্রকাশ করে ফলে তাদের মানসিক বিকাশ অন্যভাবে ঘটে। যাতে শিশুরা অনুভব করতে পারে যে তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ঘুমে শৃঙ্খলা

অভিভাবকের উচিৎ এটাও লক্ষ্য রাখা যে বাচ্চারা 8 থেকে 9 ঘণ্টা ঘুমাচ্ছে কিনা। কারণ শৈশব থেকে একটা সঠিক নিদ্রাভাস গড়ে তোলা খুবি জরুরি। একটা শিশুর 8 থেকে 9 ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয় ; কিন্তু কম ঘুম যেমন বাচ্চার ক্ষতি করে তেমনই অতিরিক্ত ঘুমও বাচ্চার ক্ষতি করে।