লতা মঙ্গেশকরের খাবারে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিষ, নিজেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা

সঙ্গীতের দেবী হিসেবে পরিচিত প্রখ্যাত গায়িকা লতা মঙ্গেশকর সঙ্গীত জগতে একটি বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। তিনি তার ক্যারিয়ারে প্রচুর সেরা গান গেয়েছেন, যার শিখা আজও অক্ষত রয়েছে। লতা মঙ্গেশকর, যিনি তার সুরেলা কণ্ঠে মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সকাল ৮:৩০ টায় পৃথিবীকে বিদায় জানান। লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে পুরো বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন অনেক তারকারাও। খুব কম মানুষই জানেন যে লতা মঙ্গেশকরের বয়স যখন ৩৩ বছর, তখন তাকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। লতা মঙ্গেশকরের ক্যারিয়ার যখন উচ্চতায় পৌঁছেছিল, তখন কেউ তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল। আর প্রতিদিন তাকে খাবারে সামান্য বিষও দেওয়া হতো বলে জানা যায়।

এক সাক্ষাৎকারে লতা মঙ্গেশকর নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। ভারত রত্ন লতা মঙ্গেশকর একটি সাক্ষাৎকারে প্রকাশ করেছিলেন এই ঘটনা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার সময় দিদি বলেছিলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে আর কথা বলি না।’ কারণ এটা ছিল আমাদের জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়। তিনি বলেন অনেকেই মনে করতেন ‘১৯৬৩ সালে, আমি এতটাই দুর্বল হয়ে পরি যে তিন মাসের জন্য বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। অবস্থা এমন হয়ে গেল যে আমি পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতেও পারতাম না।

এর পর ডাক্তাররা আমাকে বলেছিলেন, আমি আর গান গাইতে পারব না।’ এর জবাবে লতা মঙ্গেশকর বলেন, ‘আসলে এটা সত্যি নয়, এটা আমার স্লো পয়জন হয়ে যাওয়াকে নিয়ে একটা কাল্পনিক গল্প বানানো হয়েছিল। ডাক্তার আমাকে বলেনি যে আমি কখনই গান গাইতে পারব না। আরপি কাপুর, আমাদের পারিবারিক ডাক্তার যিনি আমাকে সুস্থ করেছিলেন।

তবে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, গত কয়েক বছরে এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। আমি আমার কণ্ঠ হারাইনি। তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে ধীরগতির সময় দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ডাঃ কাপুরের চিকিৎসা এবং আমার সংকল্প আমাকে ফিরিয়ে এনেছে। তিন মাস বিছানায় থাকার পর, আমি আবার রেকর্ড করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। তবে কে লতা মঙ্গেশকরকে বিষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বা আদৌ কেউ বিষ মিশিয়েছিল কি না তা কখনই প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিষের বিষয়টি ফাঁস হলে তার বাড়ির বাবুর্চি পালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।