মাত্র ২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আজই শুরু করুন এই গাছের ব্যবসা, মাস গেলে আয় হবে লাখ টাকা

ব্যবসা করার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। কিন্তু বিনিয়োগের অভাবে তারা তাদের ইচ্ছে পূরণ করতে পারে না। কারণ ব্যবসায় মুনাফার মুখ দেখতে গেলে, প্রথমেই মোটা অংকের বিনিয়োগ করতে হয়। এরপর ব্যবসায় ক্ষতি লেগে আছেই। তাই অনেকের ইচ্ছা অপূর্ন রয়ে যায়। তবে আজ আপনাদের এমন এক ব্যবসার কথা বলব, যেটা আপনি অল্প বিনয়োগ করেই শুরু করতে পারবেন। এতে আপনার লাভ হবে লাখ টাকার উপরে। আসুন জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে।

ব্যবসাটি হল উদ্ভিদ চাষের। তবে এবার প্রশ্ন আসতে পারে, আপনি কি উদ্ভিদ চাষ করবেন? আপনি বনসাইয়ের উদ্ভিদ চাষ করতে পারেন। আপনি এক হেক্টর জমিতে ১৫০০ থেকে ২৫০০ গাছ লাগাতে পারেন। ৩*২.৫ মিটারে একটি চারা রোপণ করলে এক হেক্টর জমিতে প্রায় ১৫০০ টি গাছ লাগানো যাবে। দুটি গাছের ফাঁকে ফাঁকে অন্য ফসলও ফলানো যেতে পারে। আপনি এই উদ্ভিদ চাষ করে বছরে তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

তবে এই উদ্ভিদ চাষ করে আপনি আয়ের মুখ কিন্তু চার বছর পর থেকে দেখতে পাবেন। কিন্তু আপনাকে প্রতিবছর এই গাছ প্রতিস্থাপন করতে হবে না। কারণ বাঁশের গাছ ৪০ বছর অব্দি স্থায়ী হয়ে থাকে। আপনার এই গাছের পিছনে তিন বছরে গড়ে খরচ হবে প্রায় ২৪০ টাকা। এরমধ্যে ১২০ টাকা সরকারি সাহায্য করে দেবে। সরকারের তরফ থেকে ৫০ শতাংশ সাহায্য পাওয়া যাবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ সাহায্য পাওয়া যায়। তবে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে বনসাই গাছের চাষ বেশি হয়ে থাকে।

তবে সরকারের ৫০ শতাংশের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ১০ শতাংশ দিয়েই থাকে। বাকি শতাংশ রাজ্য সরকার দিয়ে থাকে। প্রতিটি জেলার নোডাল অফিসাররা সম্পূর্ণ তথ্য আপনাকে দিয়ে দেবে। এই গাছের চাষ করতে গেলে আপনার প্রয়োজন জল, বেলে মাটি, মাটির পাত্র বা কাঁচের পাত্র। আপনি ছাদেও এই গাছের চাষ করতে পারেন। পরিষ্কার জল দেওয়ার জন্য স্প্রে বোতল। আপনি কম পুঁজিতে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং এতে লাভ কিছুটা সময়ের পরই আপনি দেখতে পাবেন। আজকাল বনসাই গাছকে ভাগ্যবান গাছ হিসাবে বলা হয়ে থাকে। এটি বাড়ি এবং অফিসের সাজসজ্জায়ও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আজকাল এই গাছের চাহিদা খুবই বেশি বাজারে। বনসাই গাছ বাজারে ২০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয় ।