মাঝ সমুদ্রে টলে গেল নৌকা, নীল চোখের মৎসকন্যা দেখে তাজ্জব মৎস্যজীবীরা!

বলা হয় যে, সমুদ্রের জগৎ নাকি খুবই আকর্ষণীয় এবং রহস্যময়। যেহেতু এই জগৎটা সাধারণভাবে আমারা দেখতে পারি না, সেই কারণে সমুদ্রের তলদেশ নিয়ে অনেক রহস্য রয়েছে মানুষের মনে। সামুদ্রিক বিশ্ব সম্পর্কে অনেক সময় অনেক কথাই শোনা যায়, যা বিশ্বাস করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না হলেও, এর পেছনে কোন ব্যাখ্যাও খুঁজে পাওয়া যায় না। অগত্যা প্রমাণের অভাবে অনেক সময় অনেক কিছুই আমাদের বিশ্বাস করে নিতে হয়। আবার অনেক সময় এমন অনেক অবাস্তব জিনিস দেখতে পাওয়া যায়, যার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

সেরকমই সমুদ্রের নীচে থাকা মারমেইডদের (Mermaid) গল্প আমরা শুনলেও, বেশিরভাগ মানুষই এটাকে গল্প বলেই মনে করেন। চলচ্চিত্রের পর্দায় এই নিয়ে একাধিক সিনেমা তৈরি হলেও, এবিষয়টাকে এখনও অনেকে রূপকথার গল্প বলেই মনে করেন। কিন্তু এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যারা এই বিষয়টা বাস্তব বলেই মনে করেন। তাঁরা মারমেইডদের থাকার প্রমাণ বহুবার দেখেছেন।

Mermaid

এদিকে বর্তমান সময়ে এমন একটি ভিডিও (video) সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে সমুদ্রের নীচে মারমেইডকে বন্দী করা হয়েছে। সমুদ্রের জলে নীল-সবুজ রঙের মানুষের মত ছায়া দেখা গিয়েছে। এটা দেখার পর অনেকেরই এলিয়েন মারমেইডের কথা মাথায় এসেছিল। সমুদ্রের গভীরে একজন ব্যক্তির ছায়া দেখাটা ছিল খুবই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। কিন্তু যারা এটি রেকর্ড করেছে তাদের মতে, এটি ছিল ভয়ঙ্কর। জানিয়ে রাখি, এই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি, পুয়ের্তো রিকোর আগুয়াডিলা শহর থেকে শেয়ার করা হয়েছে।

Mermaid

জেলেদের কথায়, মনে হচ্ছিল জলের মধ্যে মানুষের ছায়া রয়েছে। প্রথমে একজন এটি দেখতে পান। তারপর তিনি চেঁচিয়ে ওঠেন এবং বলেন নৌকার নীচে কিছু রয়েছে। আর এই ভিডিও দেখে বেশিরভাগ মানুষই অবাক হয়ে যায়। এক নেটিজন লিখেছেন, ‘এখানে একটি মারমেইড বা এলিয়েনের মতো দেখাচ্ছে যে জলে নীল রঙ ছেড়ে যাচ্ছে’। অনেকে আবার এটিকে ডলফিন বলেও মন্তব্য করেছেন।