জেলে বসে বসেই রোগজার করছেন বার্ষিক ৮ লাখ টাকা, জানুন IIT পাস বন্দির পুরো কাহিনী

প্রতিভাবান ব্যাক্তির প্রতিভা কখনো বিফলে যায় না। এরকমই এক ঘটনা শোনা গেল জেল বন্ধি এক প্রতিভাবানের। এই যুবকটি 2010 সালে তার প্রেমিকাকে হত্যার চেষ্টায় অভিযুক্ত হয়ে সিমলা জেলে বন্দী হন এবং ইতিমধ্যে তার প্রেমিকা মারা যায়। এই ব্যাক্তির প্রতিভা হচ্ছে যে তিনি জাতীয় পর্যায়ের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কারিগরি বিদ্যায় পারদর্শী ।

তিনি সাময়িক রাগের নেতিবাচক প্রভাবে তিনি জেলবন্দি। কিন্তু তার প্রতিভাবলে তিনি জেলে বসে বছরে আট লাখ করে টাকা আয় করছেন। এই যুবক যখন সংশোধনাগারে সাজা ভোগ করছিলেন ; তখন জেলা প্রশাসন একটা অভিযান ‘হর হাত কাম নাম’ দ্বারা প্রত্যেক বন্দীদের সুপ্ত প্রতিভার সাহায্যে তাদের কর্ম সংস্থানের জন্য এক কর্মসূচি শুরু করা হয়।

সেখানে তাকে কারিগরি কাজে নিয়োগ করে এবং তাকে একটা অনলাইন পরীক্ষা দিতে হয় জল বিভাগে নিয়োজিত হওয়ার জন্য। তখন সেই পরীক্ষার জন্য তিনি একটা অনলাইন সফটওয়্যার তৈরি করেন। জেল কর্তৃপক্ষ তার প্রতিভা দেখে তাকে সর্ব প্রকার সাহায্য করেন।

তার এই প্রতিভা বলে তিনি স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা শুরু করেন ; যেখানে শিক্ষার্থীরা পাঠদান পদ্ধতিতে বিস্মিত হয়ে অনলাইন ক্লাস করতে আগ্রহী হতে থাকে। একটি অনলাইন ক্লাস প্রদানকারী সংস্থা তাকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীকে বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষকতায় নিয়োগ করেন এবং এই জেলবন্দি যুবক বার্ষিক আট লাখ টাকা আয় করতে থাকেন। বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে অনেক নতুন করে জীবন শুরু করে কিন্তু এই ব্যাক্তি বন্দী থাকা অবস্থাতেই নতুন জীবনের সূচনা করলেন।