পাখিদের জন্য তৈরি বিলাসবহুল মহল- থাকা খাওয়ার সম্পূর্ণ ব্যাবস্থা, বৃষ্টিতেও নেই চিন্তা

হাজার হাজার মাটির হাঁড়ি, শিবলিঙ্গের ধরন বা কাঠামোতে সাজানো হয়েছে। দেখলে হয়তো মনে হবে এটা কোন শিব মন্দির! কিন্তু না, এটা পাখিদের থাকার একটা বিশাল বাংলো। এখানে পাখিদের থাকার জন্য খুব ভালো ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রীষ্ম হোক বা বৃষ্টি এখানে পাখিদের কোনো সমস্যা হয় না। এটি গুজরাটের নাভি সাঙ্কলি গ্রামে কয়েক হাজার মাটির ‘হাঁড়ি’ দ্বারা নির্মিত পাখিদের একটি দুর্দান্ত ঘর।

এটি কোনও ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা তৈরি করা হয়নি। মাত্র চতুর্থ শ্রেণি পাস কৃষক “ভগবানজি ভাই” তৈরি করেছেন এই পাখিদের বিলাসবহুল বাংলো। থাকার এবং খাওয়ার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা, গ্রীষ্মে এ.সি উপভোগ, বৃষ্টিতেও নো টেনশন। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৫ বছর বয়সী ভগবানজি ভাই পাখি খুব পছন্দ করতেন। তিনি পাখিদের দানা (খাবার) দিতেন আর পাখিরা সেই দানা খেতো এবং উড়ে যেত।

পাখি প্রেমী ভগবানজি সর্বদাই চিন্তায় থাকতেন বর্ষায় এই লক্ষ লক্ষ পাখিরা কোথায়, কিভাবে থাকবে? অবশেষে, কঠোর পরিশ্রম ও খরচের পরোয়া না করে ১৪০ ফুট লম্বা ও ৪০ ফুট উঁচু পাখির ঘর তৈরি করেন। এতে প্রায় আড়াই হাজার ছোট-বড় হাঁড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। তার নির্মিত এই সুন্দর পাখির বাড়িটি তার ছোট্ট গ্রামের পরিচিতি হয়ে উঠেছে। ভগবানজি ভাইয়ের তৈরি পাখির বাড়ি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন।

 

‘কবুতর’, ‘তোতা’পাখি সহ অনেক ধরনের পাখির বাস এই পাখির বাড়িতে। গ্রীষ্মের মরসুমে পাখিরা এখানে ঠান্ডায় বিশ্রাম নেয়, যদিও তাদের বর্ষায় ভিজে যাওয়ার চিন্তা করতে হয় না। এটি তৈরি করতে প্রায় এক বছর সময় লেগেছিল। বয়স ৭৫ পেরিয়ে গেছে, কিন্তু ভগবানজি তার ১০০ একর জমির কাজ দেখাশোনা করেন। তার দুই ছেলে রয়েছেন, যারা কৃষি ব্যবসায় যুক্ত আছে।