একসময় খাওয়ার পয়সা ছিল না, ম্যাগি খেয়ে খেলতেন ম্যাচ, এখন বছরে ১৫০ কোটি টাকা আয় করেন এই জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা

ভারতীয় ক্রিকেট টিমে স্থান পেতে জন্য একজন খেলোয়াড়কে অনেক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক কঠোর পরিশ্রম করে তারা সাফল্য পান। এই খেলোয়াড়দের অনেকেই ধনী পরিবার থেকে আসে আবার কিছু খেলোয়াড় চরম দারিদ্র্যতা থেকে বেরিয়ে এসে ভারতীয় দলে তাদের জায়গা খুঁজে নেয়। এই ধরনের দারিদ্র্যতা থেকে উঠে আসা, ভারতের উদীয়মান অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)।

তিনিও ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন। হার্দিক পান্ডিয়া গুজরাটের একটি অতি সাধারণ পরিবার থেকেই আসেন ক্রিকেট জগতে। হার্দিকের বাবা ফাইন্যান্সার হিসাবে কাজ করতেন। তিনি খুব বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেননি। ২০১০ সালে, হার্দিকের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং তার স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে আর কাজ করতে পারেননি।

ফলে হার্দিকের বাড়ির আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়ে। তার বড় ভাই ক্রুনাল পান্ডেও একজন ক্রিকেটার এবং আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেন। কুণাল পান্ডিয়ার মতে, হার্দিক এবং কুণাল পান্ডে গ্রামে ক্রিকেট খেলে ৪০০-৫০০ টাকা উপার্জন করতে। কুনালের কথায়, ওই দিনগুলো না থাকলে আজকের দিনটা খুব একটা ভালো হতো না।

পান্ড্য পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পরেছিল। হার্দিকের পরিবার আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত। শুধু তাই নয়, হার্দিকের নিজস্ব ক্রিকেট কিটও ছিল না। তিনি জুনিয়র স্তরের ক্রিকেটে ভাল উন্নতি করেছিলেন এবং লিডিং ক্লাব ক্রিকেটে অনেক ম্যাচ জিতেছিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন হার্দিকের ভাই ক্রুনাল। ক্রুনালের মতে, হার্দিক পান্ডে পড়ালেখায় ভালো ছিলেন না এবং তিনি নিজেই ৯ তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন নি। এরপর পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে পুরো মনোযোগ দেন ক্রিকেটের দিকে। প্রাক্তন ক্রিকেটার কিরণ মোরে হার্দিক পান্ডিয়াকে তার ক্রিকেট একাডেমিতে তিন বছরের বিনামূল্যের প্রশিক্ষণ দেন।

এরপর তাকে একজন মহান ক্রিকেটার বানান তিনি। পান্ডে পরিবার ২০১৫ সালের আইপিএল নিলামে খুশি ছিল। কারণ সেই বছর মুম্বাই ভারতীয় দল হার্দিক পান্ডেকে ১০ লাখ টাকা অফার করে তাদের টিমের হয়ে খেলে দেওয়ার জন্য। তিনি চুক্তিবদ্ধ হন তারপর থেকে হার্দিককে আর থেমে থাকতে হয় নি।