বাড়ির ছাদে হাইড্রোপনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে সব্জি চাষ, করছেন লাখ টাকা আয়

বর্তমান সময়ে কৃষিতে অত্যাধুনিক কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। এরফলে খরচ যেমন কম পরছে, তেমনই সর্বোচ্চ আয়ও হচ্ছে। আজ এমন একটি কৌশলের কথা বলব, যা আজকাল খুবই প্রচলিত তার নাম হলো হাইড্রোপনিক টেকনিক। হাইড্রোপনিক প্রযুক্তিতে যেকোনো ধরনের উদ্ভিদ মাটি এবং সার ছাড়াই বড় হয়ে ওঠে। শুধু এর জন্য প্রয়োজন জল, সূর্যলোক এবং একটি বিশেষ পুষ্টিসমৃদ্ধ দ্রবন।

মাদুরাইয়ের এক ব্যক্তি , যার নাম রাজেশ্বরন। তিনি হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁর বাড়ির ছাদে ২০ টির বেশি সবজির চারা রোপণ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এই প্রযুক্তি চাষের জন্য একটি ভালো কৌশল। তিনি প্রথমে সোলার এনার্জি ইকুইপমেন্ট এবং ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা করতেন। এরপর তিনি রেস্টুরেন্টে ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। এই ব্যবসা করতে গিয়ে তিনি ধারণা করলেন, নিজের শাকসবজি চাষ করে সেই চাষ করা সবজি রেস্তোরাঁয় ব্যবহার করলে, তা সবার জন্য ফ্রেশ এবং স্বাস্থ্যকর হবে। এই ধারণায় তাঁকে কৃষি কাজের সাথে যুক্ত করে।

তিনি প্রথম ছাদে শুরু করেছিলেন: রাজেশ্বরন ২০১৬ সালে বিশ্ব শান্তি নগরে তাঁর বাড়ির ৮০০ বর্গফুট টেরসে চাষ শুরু করেছিলেন। তিনি চাষের জন্য বেছে নিয়েছিলেন হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি। তিনি প্রথম ব্যক্তি, যিনি তাঁর শহরে হাইড্রোপনিক ফার্মিং শুরু করেন। এই কাজে তিনি খুবই খুশি কারণ তিনি অনুভব করেছেন যে তিনি ভেজাল ছাড়াই খাঁটি সবজি পাচ্ছেন। সেই সবজি তিনি রেস্তোরাঁও ব্যবহার করছেন। আর সবথেকে ভালো ব্যাপার হলো যাদের জায়গা বেশি নেই, তারাও এই কৌশলটি ব্যবহার করে সহজেই কৃষিকাজ করতে পারবেন।

তিনি তাঁর ছাদে একটি হাইড্রোপনিক্স গ্রিন হাউস তৈরি করেছেন। বর্তমানে তিনি ২০ ধরনের ফল এবং সবজি চাষ করেছেন। প্রথম দিকে তিনি তাঁর বাগানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন যে কোনো মূল্যে এই ক্ষেত্রে সফল হতে। প্রথম চার মাসের তাঁর কঠোর পরিশ্রম সার্থক হয়। তাঁর গাছগুলিতে সবজি জমাতে শুরু করে। প্রথমে তিনি টমেটো চাষ করেছিলেন, সেই চাষের ফলনও খুব ভালো হয়েছিল। এরপর তিনি পুদিনা, পালংশাক, অ্যাসপারাগাস, ওকড়া, টমেটো এবং শিম ইত্যাদি সবজি চাষ শুরু করেছিলেন।