ভারতের এই চমৎকারী মন্দিরে করা হয় ব্যাঙের পুজো, কারণ চমকে দেওয়ার মতো

ভারত এমনই একটি দেশ যেখানে মন্দিরের অভাব নেই। এখানকার প্রতিটি মন্দিরের নিজস্ব অনন্য বা অলৌকিক গল্প রয়েছে। আপনিও নিশ্চয়ই অনেক দেব-দেবীর মন্দিরের কথা শুনেছেন। কিন্তু আজ আমরা এমন এক মন্দিরের কথা বলতে যাচ্ছি যেখানে ব্যাঙের পূজা করা হয়। উত্তর প্রদেশের লখিমপুর-খিরি জেলার ওয়াল নামক একটি বসতিতে অবস্থিত একটি মন্দিরে ব্যাঙের পূজা করা হয়।

ওয়েল শৈব সম্প্রদায়, ভগবান শিবের উপাসকগণ এখানে বাস করতেন। এই অঞ্চলটি ১১শ থেকে ১৯শ শতাব্দী পর্যন্ত চাহামান শাসকদের কাছে ছিল। এই রাজবংশের রাজা বখশ সিং এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। মন্দিরের শিবলিঙ্গের সামনে ব্যাঙের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। ব্যাঙ মন্দিরের শিবলিঙ্গের রং বদলে দেয় বলে বিশ্বাস করা হয়। একই সময়ে মন্দিরে নন্দীর একটি অপূর্ব মূর্তিও দেখা যায়।

মন্দিরের দেয়ালে আরও কিছু দেবদেবীর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। তান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের পূজাও করা হয়। এই মন্দিরের কাঠামো অনেক মানুষকেই আকর্ষণ করে। আসলে মন্দিরের কাঠামো তন্ত্রশাস্ত্রের ভিত্তিতে করা হয়েছিল। মন্দিরের স্থাপত্য নকশা কপিলার একজন মহান তান্ত্রিক দ্বারা করা হয়েছিল। বলা হয় মন্দিরটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয়েছিল। মহাশিবরাত্রি ও দীপাবলিতে এখানকার ব্যাঙ মন্দিরে ভক্তদের প্রচুর ভিড় হয়। লোকজন এখানে আসেন পুজো দিতে।

জানিয়ে দি, তন্ত্রের অর্থ হলো টেকনিক। ভারতীয় শাস্ত্র অনুযায়ী কোনো কাজের জন্য যখন বাহ্যিক পদার্থের ব্যাবহার করা হয় সেটা তন্ত্র। আর যখন বাহ্যিক পদার্থ ব্যাবহার না করে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ স্তরে কাজ করা হয় তখন সেটাকে বলা হয় যোগ। যেভাবে যোগ এর ক্ষেত্রে রাজ যোগ, ভক্তি যোগ ইত্যাদি হয়ে থাকে। একইভাবে তান্ত্রিক পদ্ধতিরও বহ ভাগ রয়েছে। আর এই বিভাজনকে কেন্দ্র করে ভারতের কোনায় কোনায় প্রাচীন সময় থেকে মন্দির নির্মাণ হয়ে আসছে। তারই উদাহরণ এই ব্যাঙ মন্দির।