একই পরিবারের চার ভাই-বোন একসাথে UPSC পরীক্ষা দিয়ে হয়েছেন IPS অফিসার

পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে যে কাজ সম্পন্ন হয় তা নিঃসন্দেহ বিশ্বজননীর পূজা। পৃথিবীতে নিজ নিজ শক্তি অনুযায়ী সমস্ত কাজ বিশ্ব জননীর পুজোর পবিত্র উপকরণ। তাই সকল কাজই মানুষের করনীয় তথা কাজের কোনো জাতিভেদ নেই। অবশ্য এক এক ধরণের ব্যাক্তির কাজের পছন্দ এক এক রকম হয়ে থাকে। কারোর কলা সস্কৃতি বিভাগে ভালো লাগে আবার কারোর ভালো লাগে বিজ্ঞান বিষয়ক কাজ।

সমাজে দেখা যায়, কারো পেশা যদি শিক্ষকতা করা হয়, তাহলে অনেকসময় তারাও চায় তাদের সন্তানরা শিক্ষক হোক। ডাক্তার হলে তারা চায় তাদের সন্তানরাও ডাক্তার হোক এবং অনেক পরিবারে এমনও দেখা গেছে যে পুরো পরিবারে একই পেশার সাথে যুক্ত। ঠিক সেইরকমই একজন আইপিএসের পরিবার। যে পরিবারটি অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার অমুদালা লঙ্কা গ্রামের, তাদের পরিবারের সকল সদস্যই ছিলেন আইপিএস অফিসার।

এই পরিবারটি আইপিএস অফিসার কে এম বিষ্ণু বর্ধন রাও এবং তাঁর ছেলে এম হর্ষবর্ধন, কন্যা দীপিকা এবং এমনকি জামাতা বিক্রান্ত পাটিল সকলেই আইপিএস অফিসার। চারজনই একই পরিবারে সদস্য। দেশের ৩টি রাজ্যে চাকরি করছেন তারা৷ এই ব্যাপারটি অফিসার রাও এর জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। মিডিয়ার সাথে কথোপকথনের সময়, রাও -এর মেয়ে তথা আইপিএস অফিসার এম দীপিকা জানান যে তিনি এবং তার ভাই উভয়েই রাজস্থানের ঝুনঝুনুর পিলানি শহর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছিলেন।

তারপরে দুজনেই আইপিএস হওয়ার জন্য প্রস্তুত হন এবং সফলও হন। এর সাথে দীপিকা আরও জানান, যে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে প্রথম মহিলা এএসপি হিসাবে জোগ দেন, যেটির জন্য তিনি খুব গর্বিত। এর পর দীপিকা আইপিএস বিক্রান্ত পাটিলের সাথে সম্পর্কে আসেন এবং পরে বিয়ে করেন। বিয়ের আগে বিক্রান্তকে তামিলনাড়ু ক্যাডারে কাজ করতে হয়, তবে বিয়ের পরে তিনি স্ত্রীর সাথে অন্ধ্রপ্রদেশে চলে আসেন। এই চারজন কর্মকর্তাই প্রতিশ্রুতিশীল এবং সক্ষম।