২০ গ্রাম সোনার চেন গিলেছিল গরু, ৩৫ দিন পর গাইয়ের পেট থেকে বেরিয়ে এল অদ্ভুত অবস্থায়

পৃথিবীতে এমন অনেক আজব ঘটনা ঘটে। যা শোনার পর নিজের কানকেও বিশ্বাস করানো যায় না। তবে এরকম অদ্ভুত ঘটনা কখনো কখনো অনেক বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। আসুন, সেরকম একটি ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। যা শুনলে আপনিও হতবাক হয়ে যাবেন। আসুন বিস্তারিত জেনে নিন।

মানুষ তাদের পছন্দ অনুযায়ী, পশু-পাখি পালন করে থাকেন। কেউ পাখি পালন করতে বেশি পছন্দ করেন। কেউ বা বাড়িতে কুকুর রাখেন। কেউ বা বাড়িতে গরু রাখেন। তবে হিন্দু মতে গরুকে ভগবানের মতো পুজো করা হয়। অনেকেরই বিশ্বাস গরুকে সেবা করলে পূর্ণ হয়। তবে এবার এই সেবার চক্করে ঘটে গেলো এক বিপত্তি। এক গরু ২০ গ্রামের সোনার চেন গিলে ফেললেন। তা চিকিৎসকদের গরুর পেট থেকে বের করতে নাজেহাল অবস্থা হলো।

আসলে শ্রীকান্ত হেগড়া নামক এক কৃষক এবং তাঁর স্ত্রী তাঁদের পোষ্য গরুকে এবং ছোট বাছুরকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখেন। সম্প্রতি ওই কৃষক গরুকে সোনার চেইন পড়িয়েছিলেন। চেনটি ছিল ২০ গ্রামের। যদিও চেনটি পরানের অত সহজ ছিল না। অনেক কষ্ট করে অবশেষে সোনা চেনটি পড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন শ্রীকান্ত। এরপর গরু এবং বাছুরকে পুজো করা হয়। পুজো শেষ হলে গরুর থেকে চেন খুলে, এক জায়গায় রাখা হয়। সেই জায়গায় সোনার চেনটিও রাখা হয়। গরু বাবাজি ফুল খেতে খেতে সোনার চেনটি গিলে ফেলেন।

এরপর ওই দম্পতি গরুর গোবরের ওপর টানা ৩৫ দিন নজর রাখেন। গোবর বারবার পরীক্ষা করেন, গোবর থেকে চেন বেরনোর ধারণা নিয়ে, কিন্তু কোন লাভ দেয় দেয় না। টানা ৩৫ দিন গরুটিকে বাইরে বের করেননি। তাকে ঘরের মধ্যে রেখেছিলেন। অবশেষে ৩৫ দিন পর বাধ্য হয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে গরুটিকে, পশুচিকিৎসক মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করে জানান গরুটির পেটে চেন রয়েছে। এরপর গরুর পেট ছিঁড়ে সোনার চেইন বের করেন। তবে সোনার চেনের ওজন ২০ গ্রামের বদলে ১৮ গ্রাম বের হয়। বাকি ২ গ্রাম বের করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই দম্পতি সোনার চেইন পেয়ে খুশি। তবে দুঃখ প্রকাশ করেছে যে, তাঁদের গরুটিকে তাদের জন্যই এত কষ্ট ভোগ করতে হল।