বাবার খারাপ সময় দেখে কোম্পানি দাঁড় করিয়ে দিলো এক স্কুলপড়ুয়া, এক আইডিয়াতেই কোটিপতি ১৩ বছরের বালক

সন্তানকে সুশিক্ষা ও উজ্জ্বল ভবিষতের জন্য প্রায় সব অভিভাবকই চেষ্টা করে। নিজে ক্ষুধার্ত থাকলেও সন্তানের লালন-পালনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রত্যেক বাবা-মা ই। মানুষ হোক বা পশু সবার মধ্যেই বিষয়টি লক্ষণীয় যে,সন্তানকে নিরাপদ রাখার জন্য অভিভাবক অনেক কিছু করতে পরেন।

আবার এটাও ঠিক কিছু সন্তানও চায় তার অভিভাবক দের জন্য কিছু করতে। তেমনই একসন্তানের প্রচেষ্টা গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। মুম্বাইয়ের তিলক মেহতা তার পিতার ক্লান্তিকে দূর করতে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই নজির গড়লেন গোটা দেশে। বাবার কষ্ট দূর করতে পরিবর্তনের নতুন পথে এগোলেন এই শিশুটি(তিলক)।

তিলক মেহতা মুম্বাইতে থাকেন এবং তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। তার গল্প যে কারোর জন্য খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক হতে পারে।তিলক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র, সে প্রতিদিন দেখতো তার বাবাকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাড়ি ফিরতে এবং এটি তার কাছে খুবই বেদনা দায়ক ছিল। কিন্তু সে তার বাবাকে কোনো সাহায্য করতে পারছে না। এতটুকু বয়সেই তিলক সিদ্ধান্ত নেয় তার বাবাকে সাহায্য করার।

তিনি পেপারস অ্যান্ড পার্সেল (PNP) নামে একটি লজিস্টিক কোম্পানি শুরু করেন।
তিলক মেহতার লক্ষ্য মোটেও ছোট ছিল না। যে বয়সে শিশুরা শুধুমাত্র খেলাধুলা করে এবং স্কুলে পড়াশোনা করে, সেই বয়েসে তিলক কোটি টাকা উপার্জনের চিন্তা শুরু করে।

একই সময়ে, লজিস্টিক মার্কেটে তাদের শেয়ার ২০%(শতাংশ) উন্নীত করে এবং ব্যবসাও বড় বৃদ্ধি পায়। তিলক যখন ব্যাঙ্ক অফিসার “ঘনশ্যাম পারেখকে” স্টার্টআপ শুরু করার এই ধারণাটি জানান, তখন তিনি চাকরি ছেড়ে তিলকের সাথে যোগ দেন এবং কোম্পানিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসাবে কাজ শুরু করেন।


বর্তমানে তিলকের কোম্পানিতে ২০০ জন কর্মচারী কাজ করছেন এবং ৩০০ জনের বেশি ডাব্বাওয়ালাও যোগ দিয়েছেন। ডাব্বাওয়ালাদের সহায়তায়, কোম্পানি দিনে ১২০০ টিরও বেশি পার্সেল সরবরাহ করছে। PNP বর্তমানে সর্বাধিক ৩ কেজি পর্যন্ত পার্সেল গ্রহণ করছে, যার চার্জ ৪০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত।