আবারও দেখা মিলল দুর্লভ কালো বাঘের, উড়িষ্যার জঙ্গলের এই বাঘের ছবি দেখে উল্লাসিত প্রকৃতিপ্রেমীরা

প্রকৃতি নিজের মধ্যে অনেক গুপ্তধন লুকিয়ে রেখেছে এবং দুস্কৃতি মানসিকতার মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করে রেখেছে। অনেক সময় মানুষের চোখে প্রকৃতির সেই লুকানো খাজান ধরা পড়ে। এই বার প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য, ওড়িশার বন থেকে একটি সুন্দর উপহার এসেছে। এখানকার নন্দনকানন জুলজিক্যাল পার্কে একজোড়া কালো বাঘ দেখা গেছে। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন যে এই বিরল প্রাণীটিকে গত কয়েক বছরে ওড়িশায় ৭-৮ বার দেখা গেছে।

বাঘের ছালের কালো রঙ সিউডো মেলানিজম নামক জেনেটিক মিউটেশনের কারণে হয়ে থাকে। এই জেনেটিক মিউটেশনের কারণে ত্বকে কমলা-সোনালি ডোরা ও কালো ডোরা দেখা যায় এবং বাঘের চামড়া সম্পূর্ণ কালো দেখায়।গত বছরের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো এই দুই বাঘের দেখা পান তারা। তিনি বলেছেন যে এত কাছ থেকে এত সুন্দর দৃশ্য দেখে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিলাম না এবং এক মিনিটের জন্য ক্যামেরা তুলতেও ভুলে গিয়েছিলাম।’ ১৯৯৩ সাল থেকে ওড়িশার শিমলিপাল জাতীয় উদ্যানে কালো বিরল বাঘ দেখা যাচ্ছে। ২০০৭ সালে প্রথমবার এখানে তার ছবি তোলা হয়।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন যে এই ধরনের বাঘ খুব কমই অন্য প্রজাতির সাথে সাদৃশ্য বা সম্পর্ক বাড়ায়। ২০২০ সালেও এই দুর্লভ বাঘ গুলির ছবি তোলা হয়েছিল, সেই সময়ও ভালো ছবি আসেনি। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, শিল্পী জেমস ফোর্বস ১৭৭৩ সালে কেরালায় একটি কালো বাঘ এঁকেছিলেন।