ট্রেনে করে মানুষ এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছে যায়। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কিছু ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যায়। যাদের বিমান সফর করার অত টাকা থাকে না, তারা ট্রেনে করে সেই জায়গায় পৌঁছে যায়। ট্রেনে সফর করার সময় অনেক হর্ন শোনা যায়। কিন্তু কমবেশি অনেকেরই জানা নেই, এই হর্নগুলির আলাদা আলাদা মানে রয়েছে। আজ এই হর্নগুলির ব্যাপারে, বিস্তারিত জেনে নিন।
১. ওয়ান শর্ট হর্ন –
এই হর্নটি বড় বড় স্টেশনগুলিতে বাজানো হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বড় বড় স্টেশনগুলি পড়ে হাওড়া, শিয়ালদা, বর্ধমান প্রমুখ স্টেশন। এটি খুবই কম সময়ের জন্য বাজানো হয়ে থাকে। এটা বোঝানো হয়ে থাকে, ট্রেনটি এখন ছাড়বে।
২. টু শর্ট হর্ন –
এই হর্নটি দুবার বাজানো হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই হর্নের মাধ্যমে বোঝানো হয়ে থাকে, মোটর ম্যান গার্ডের কাছে সিগন্যালের জন্য বাজাচ্ছে। কারণ ট্রেনটি ছাড়ার জন্য।
৩. তিনটি শর্ট হর্ন –
এটি বিপদ সংকেত হিসেবে তিনবার হর্ন দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এটি খুবই কম শোনা যায়। এই হর্ন শুনলে গার্ড বুঝতে পারেন, ট্রেন থামানো যাচ্ছে না। তখন গার্ডকে ভ্যাকিউম ব্রেকের জন্য হর্ন বাজানোর প্রয়োজন পড়ে।
৪. ফোর শর্ট হর্ন –
ট্রেনের কোন যান্ত্রিক ত্রুটি হলে এই হর্নটি বাজানো হয়ে থাকে। কোনো বিপদ হওয়ার আগে সতর্কবার্তাও বলা যেতে পারে।
৫. ওয়ান লং , ওয়ান শর্ট হর্ন –
একবার লম্বা হর্ন বাজানো হয়, ঠিক তার পরেই একটা ছোট হর্ন বাজানো হয়। ট্রেন চালু করার আগে এই হর্ন বাজালে গার্ড ব্রেক পাইপ সিস্টেম চালু করে।
৬. টু লং, টু শর্ট হর্ন –
দুইবার বড় হর্ন বাজানো হয়, তারপরেই দুইবার ছোট হর্ন বাজানো হয়। ট্রেনের গার্ড চালককে ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়ে থাকে।
৭. টানা হর্ন –
দ্রুতগামী ট্রেনের ক্ষেত্রে এই হর্ন বাজানো হয়ে থাকে। গ্যালোপিং লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও এই হর্ন বাজানো হয়।
৮. থেমে থেমে দুবার হর্ন –
কোন রেল ক্রসিংএর উপর যাওয়ার সময় এই হর্ন বাজানো হয়ে থাকে।
৯. দুটি লং, একটি শর্ট –
ট্রেনের ট্রাক পরিবর্তন করার সময় মোটর ম্যান এই হর্ন বাজিয়ে থাকে।
১০. দুটি শর্ট হর্ন, একটি লং হর্ন –
কোন ব্যক্তি যদি ট্রেন থামানোর চেষ্টা করে চেন টেনে, তখন গার্ড ভ্যাকিউম ব্রেক ব্যবহার করেন ওই ধরনের হর্ন দিয়ে।
১১. ছয়টি শর্ট হর্ন –
বড়োসড়ো বিপদ সংকেতের দেওয়ার জন্য ৬ টি শর্ট হর্ন বাজানো হয়ে থাকে।