গ্রামগুলিকে ঢেলে সাজানোর টার্গেট মমতা সরকারের, বরাদ্দ করা হলো ৫০০ কোটি টাকা

বিগত বছরগুলোতে কোভিড পরিস্থিতিতেও মমতা ব্যানার্জির সরকার সাধারণ মানুষদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে। করোনাকালে একাধিক মানুষের কাজ হারানোর জন্য নতুন নতুন কাজের পরিকল্পনা তৈরি করেছে মমতা ব্যানার্জির সরকার। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোন অর্থই সাহায্য পায়নি মমতা ব্যানার্জির সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ছিল এই কঠিন সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে এসে দাঁড়ানোর, কিছু তারা সেটা করেনি।

তবে মমতা ব্যানার্জির সরকার এক হাতে যেমন রাজ্যের বড় বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় গুলো মোকাবিলা যেমন করেছে, তেমনি কোভিড পরিস্থিতিও সামলাচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখন কোন নতুন প্রকল্পে হাত দেওয়া হবে না। সরকারি যে কাজগুলো শুরু হয়ে গেছিলো তা খুব দ্রুত সমাপ্ত করতে হবে। এই কাজগুলো যাতে দ্রুত শেষ হয়, সেই বিষয়ে নজর রাখবেন সেই জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

এখন রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের জন্য মানবিক প্রকল্পগুলোর শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা চালু হয়েছিল যে প্রকল্প গুলো সেই গুলি চালাবে। গ্রামীণ পরিকাঠামো আরো সচল করার দিকে লক্ষ দেবে। আর্থিক গতি আরও মজবুত করবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সব মিলিয়ে বাজেট ধরেছে ৫০০ কোটি টাকা। তবে এই সবকিছুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একাই বহন করবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে তেমন কোনো সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্র থেকে রাজ্যের এখনও পর্যন্ত ৯০ কোটি টাকা পাওনা আছে। এমনকি জিএসটি থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে টাকা পাবে সেটাও ঠিক মত পায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলোর জন্য আশ্বাস দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে এসে দাঁড়াবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা তাঁদের কথা রাখেননি।

কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ প্রকল্প গুলোর টাকাও কেন্দ্রীয় সরকার কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এরকম পরিস্থিতিতে প্রতিটি দপ্তরের যে প্রকল্প গুলিতে বাড়তি টাকা আছে, প্রায় ৪৮৬ কোটি টাকা মঞ্জুর করে দিয়েছ। গ্রামীণ পরিকল্পনার প্রকল্প গুলোর জন্যই মমতা ব্যানার্জি সরকার খরচ করছে ১৭৫ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ দপ্তরের যাতে আরও উন্নতি হয় জন্য তাঁর জন্য খরচ হচ্ছে ৪০ কোটি টাকা। জল সম্পদের অনুসন্ধান ও উন্নয়নের জন্য খরচ দেওয়া হবে ৩৫ কোটি টাকা। শিক্ষা প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় করা হবে ১৫ কোটি টাকা। খাদ্য দপ্তরের জন্য দেওয়া হবে ১৩ কোটি টাকা।