মাটি ছাড়াই করছেন চাষ, ছাদের উপর ১০০ টি বালতিতে সবজি উৎপাদন করে লাগিয়ে দিলেন তাক

সাধারণত উদ্ভিদ মাটিতে জন্মায়। গাছের পুষ্টির জন্য সার, মাটি, জল এবং সূর্যের আলোর প্রয়োজন হয়। তাছাড়াও এখন মাটি ছাড়াও অন্য উপায়ে গাছকে পুষ্টি সরবরাহ করা যেতেই পারে। জল এবং সূর্যালোকের উপস্থিতিতে মাটি ছাড়াও গাছপালা বেড়ে উঠতে পারে। এরকমই ঘটনা সত্যি করে দেখালেন অন্ধ প্রদেশের বাসিন্দা শেখ আবদুল মুনাফার। তিনি মাটি ছাড়াই আধুনিক কৌশলে কৃষি কাজ করে থাকেন। আসুন বিস্তারিত জেনে নিন।

ছাদে সবজি জন্মায়:
তিনি ছাদে সবজি চাষ করে থাকেন। তিনি তাঁর বাড়ির ছাদে মাটি ছাড়াই অর্থাৎ হাইড্রোপনিক প্রযুক্তিতে সবজি চাষ করে থাকেন। তিনি এক ধরনের সবজি নয় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে থাকেন হাইড্রোপনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। এটি হল আধুনিক প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গাছপালাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করা হয়। তিনি বলেছেন, তিনি বহু বছর ধরে বারান্দায় শাকসবজি এবং শোভাময় গাছের চাষ করছেন।

তিনি আরো বলেছেন, গাছ চাষ করার জন্য সবসময় মাটির প্রয়োজন হবে এমন ব্যাপার নয়। আধুনিক কৌশল ব্যবহার করে উদ্ভিদ জন্মানো যেতেই পারে। তিনি তাঁর বারান্দায় মাটি প্রতিস্থাপন করে, অন্যান্য জৈব মাধ্যমে যেমন কোকোপিট বা সার ইত্যাদি দিয়ে উদ্ভিদ চাষ করে থাকেন। জলের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তাঁর ২০*৭৬ ফুট বারান্দায় ১০০ বালতিতে সবুজ শাকসবজি চাষ করে থাকেন।

অনেক ধরনের সবজি উৎপাদন করেন:
তিনি টমেটো, কাঁচা মরিচ, বেগুন, পালংশাক, শসা মেথি, কুন্ডুরু ও ওকড়ার মতো প্রমুখ গাছ চাষ করে থাকেন। এছাড়াও তার বাগানে শতাধিক গাছ গাছালি রয়েছে। তাঁর বাগান সাজানোর জন্য অনেক ধরনের শোভাময় গাছও তিনি লাগিয়েছেন। তিনি পিভিসি পাইপের মাধ্যমে হাইড্রোপনিক সিস্টেম ব্যবহার করে বাগানে সেচ করে থাকেন। নিত্য নতুন কৌশলের তিনি তার বাগানে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে থাকেন।