ভারতের ৫ Google Boy যাদের বুদ্ধির কাছে Google ও মানে হার, কেউ ড্রাইভারের ছেলে তো কেউ দিনমজুরের

যে কোন প্রশ্নের উত্তর বা কোনো তথ্য নিমিষের মধ্যে জেনে নেওয়া যায় গুগলের মাধ্যমে। বিশ্বজুড়ে গুগলের কোন বিকল্প নেই। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যাও সব থেকে বেশি বলে জানা যায়। আলোচ্য বিষয় এমন কিছু শিশুদের নিয়ে যারা গুগলের থেকে কম নয়। তাদের ব্রেন এতটাই তীক্ষ্ণ যে গুগোলকেও হার মানাতে পারে। খুবই দ্রুত উত্তর দেওয়ার কারণে এই শিশুরা গুগল বয় (Google Boy) নামে পরিচিত।

১. অঙ্কুশ রাজ

“ঝাড়খণ্ডের” গিরিডিহ জেলার বাসিন্দা অঙ্কুশ রাজ (Ankush raj )। তার সাধারণ জ্ঞান এবং ইংরেজির জন্য বিখ্যাত। ‘গিরিডিহ’ জেলার ‘কুবরি’ গ্রামে পৌঁছানোর কোনও উপায় নেই, তবে সবাই এই প্রত্যন্ত অঞ্চলটিকে চেনেন কারণ ২০ মাস বয়সী শিশু গুগল বয় ওরফে ছোট কৌটিল্য এই গ্রামটিকে তার প্রতিভার জন্য বিখ্যাত করেছে।

অঙ্কুশ রাজের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল তিনি যা একবার শোনে তা ভুলে যায় না। তাকে যা বলা হয় সে একবারে তার মনে ছাপিয়ে রাখে। মাত্র ২০ মাস বয়সী অঙ্কুশের ইংরেজির পুরো বইটি মুখস্ত। অঙ্কুশের বাবা অশোক যাদব কাজের সুবাদে ওড়িশায় থাকেন। তিনি একজন ট্রাক চালক। অঙ্কুশের প্রতিভা বৃদ্ধিতে তার মা নিশা ভারতী এবং ঠাকুমা নীলম দেবী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

২. কৌটিল্য পণ্ডিত

‘হরিয়ানার’ ‘কর্নাল’ জেলার কোহান্দ গ্রামে জন্মগ্রহণকারী কৌটিল্য পণ্ডিত (koutilya pandit) ৬ বছরেরও কম বয়সে অনেক বিষয় সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি সারা দেশে গুগল বয় নামে পরিচিতি পান। কৌটিল্যের মন এতটাই তীক্ষ্ণ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ মনোবিজ্ঞানীরা কৌটিল্যের স্মৃতিশক্তি নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন।

কৌটিল্য তার প্রতিভার শক্তিতে ১৪ অক্টোবর ২০১৩-এ ‘কন বানেগা ক্রোড়পতির’ মতো একটি জনপ্রিয় টিভি প্রোগ্রামে অমিতাভ বচ্চনের সামনে হটসিটে পৌঁছেছিলেন।

 

৩. অঙ্কিত

৭ বছর বয়সী অঙ্কিত (Ankit) ‘বিহারের’ ‘লক্ষীসরাই’ জেলার একটি ছোট গ্রামের বাসিন্দা। তার সাধারণ জ্ঞান বিস্ময়কর। চোখের পলকে, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অঙ্কিতকে সারা দেশের সামনে তুলে ধরেছিলেন ‘খান’ স্যার। যিনি পাটনায় খান জি.এস রিসার্চ সেন্টার কোচিং চালান।

খান স্যার তার চ্যানেলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন যাতে ৭ বছর বয়সী অঙ্কিত গুগলের মতো তাত্ক্ষণিকভাবে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। খান স্যার ভূগোল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ইতিহাসের অনেক কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন এবং অঙ্কিতের কাছে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর ছিল জানা। এই কারণেই মানুষ অঙ্কিতকে বিহারের গুগল বয় বলে ডাকতে শুরু করেছেন। শুধু অঙ্কিতই নয়, তার ৫ বছরের বোন ‘শিবানী’ও খান স্যারের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেন সঙ্গে সঙ্গে এবং তাকে গুগল গার্ল বলে ডাকা শুরু হয়েছে।

 

৪. দেবেশ সিং

করোনার সময় অনেক মানুষ হারিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে। তাদের মধ্যে আড়াই বছরের ‘দেবেশ সিং ‘(Debesh shing)। যার ওপর থেকে ‘করোনা’ তার বাবার ছায়া কেড়ে নিয়েছিল। এরপর আড়াই বছরের এই গুগল বয়ের প্রতিভা দেখল দেশ। দেশের রাজ্যের রাজধানী ও নেতাদের নাম, বিশ্বের দেশের সংখ্যা, মাসের নাম, দিনের সংখ্যা, পৌরাণিক বিষয়ের মতো সাধারণ জ্ঞানের আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর দেয় দেবেশ টাইপ করার মতো করে। ২৭ আগস্ট ২০১৯-এ জন্মগ্রহণকারী দেবেশ ‘শাহদোলে’ দাদা-দাদি এবং মায়ের সাথে বসবাস করেন।

 

৫. দীপাংশু কুমার

‘হিমাচলের ‘গুগল বয় নামে পরিচিত দীপাংশুর (Dipangshu kumar) জন্য বলা হয় যে, ব্যক্তির মুখ থেকে প্রশ্ন বের হওয়ার আগেই তিনি উত্তর দিয়ে দেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, এই শিশুটির মন এতটাই তীক্ষ্ণ যে তাকে যা জিজ্ঞাসা করা হয়, তার প্রতিটি উত্তর সে জানে এবং নিমিষেই তাদের উত্তর দিয়ে দেয়।

দীপাংশুর বাবা-মা পরিযায়ী শ্রমিক। সুনীল কুমার করোনার সময় দীপাংশুকে পড়াতে শুরু করেন। এর পরে তিনি দেখতে পান যে ৫ বছর বয়সী দীপাংশুর মন এতটাই তীক্ষ্ণ যে একবার এটি পড়লে সে কখনো ভুলে যায় না।