চলচ্চিত্র জগতের স্বনামধন্যা ও সুন্দরী অভিনেত্রী শ্রীদেবী। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ ছিল গোটা দুনিয়া। যদিও শ্রীদেবী আজ আর বেঁচে নেই। তার মৃত্যুতে দেশ জুড়ে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। অভিনেতা ‘সঞ্জয় কাপূর জানিয়েছিলেন যে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল শ্রীদেবীর।যদিও পরবর্তীকালে অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ অন্য কিছু ছিল বলে জানা যায়।
দুর্ঘটনা বশত জলে ডুবেই নাকি মৃত্যু হয়েছিল শ্রীদেবীর। সূত্রে খবর, দুবাইয়ের একটি হোটেলে স্নান করতে গিয়ে বাথটবে ডুবেই মৃত্যু হয়েছিল শ্রীদেবীর। দুবাই পুলিশের তরফে এমন টাই জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই মৃত্যু ঘিরে একটা রহস্য থেকেই যায়। মৃত্যুর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খ্যাতনামা অভিনেত্রীর মৃত্যুর আসল কারণ অজানাই থেকে যায়।
যতদূর শোনা যায় একপ্রকার জোর করেই শ্রী এর মৃত্যুর রহস্যঃ গোপনে রাখা হয়েছিল। প্রকৃত কারণ আজও নিশ্চিত নয়। শ্রীদেবী কন্যা ‘জাহ্নবী’ শুধু ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, মাকে হারানোর কষ্ট সর্বদাই, মায়ের সঙ্গে তিনি অনেক বেশি সময় কাটিয়েছিলেন। যদিও তাঁর মন খুব খারাপ ছিল।মায়ের না থাকার দিনের সংখ্যা প্রতি মুহূর্তে একটু একটু করে বেড়েই চলেছে।
২০১৮-র ২০ ফেব্রুয়ারি ছোট মেয়ে খুশিকে নিয়ে দুবাইয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। অভিনেত্রী ঠিক করেছিলেন, সেখানে আরও কয়েকটা দিন কাটাবেন এবং সামনেই বড় মেয়ে জাহ্নবীর জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর জন্য কেনাকাটাও করবেন তারা। অভিনেত্রীর রহস্য জনক মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়েই ঘটনার ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যায়।
শ্রীদেবীর স্বামী প্রযোজক ‘বনি কাপুর’ তিনিও উপস্থিত ছিলেন দুবাইতেই। রাতে ডিনারের জন্য একসাথে বেরোনোরও কথা ছিল তাদের। কিন্তু শেষমেশ শ্রীদেবীকে বাথরুমের বাথটবে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বনি তার এক আত্মিয়ের সাহায্যে তাকে বাথরুম থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি, শ্রী কে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।