যুগ যুগ ধরে কেন হয়ে আসছে যজ্ঞ, জানুন এর বৈজ্ঞানিক ও ধার্মিক কারণ

কথায় আছে “বারো মাসে তেরো পার্বণ”। হিন্দু ধর্মে সামাজিক রীতি ও রেওয়াজ মেনে অনেক নিয়ম পালন করা হয়ে থাকে। হিন্দু ধর্মে অনেক প্রথা ও ঐতিহ্য রয়েছে। এগুলোর অধিকাংশেরই শুধু ধর্মীয় নয় বৈজ্ঞানিক তাৎপর্যও আছে। যখনই কোন দেবী বা দেবতার পূজা করা হয় তখন “যজ্ঞ” (হবন) করার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এমনকি যে কোনো শুভ কাজেও পণ্ডিতজি অবশ্যই ‘যজ্ঞ’ করে থাকেন।
‘হম’ছাড়া পূজা অসম্পূর্ণ
‘যজ্ঞ’ ছাড়া সমস্ত মাঙ্গলিক কাজ ও পূজা অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। যজ্ঞের পদ্ধতি প্রায় সব পূজায় একই। প্রাচীনকাল থেকেই এই যজ্ঞ এর প্রথা চালু হয়ে আসছে। সেই সময় ঋষি মুনিও যজ্ঞ (হবন) করে দেবতাদের খুশি বা সন্তুষ্ট করতেন। সব মিলিয়ে এই যজ্ঞ (হবন) খুবই উপকারী বলে মনে করা হয় হিন্দু শাস্ত্রে।
বাড়িতে পূজা, উপবাস, বিয়ে বা কোনো শুভ কাজের জন্য হবন করা হয়ে থাকে। এমতাবস্থায় কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই হবনের উদ্দেশ্য কি? কি কারণে এটা করা হয়? আলোচ্য বিষয় হবনের (যজ্ঞ) শুধু ধর্মীয় গুরুত্ব নয়, বৈজ্ঞানিক উপকারিতাও রয়েছে। হিন্দু ধর্মে প্রতি পূজার শেষে যজ্ঞ করার নিয়ম আছে। রামায়ণ ও মহাভারতের মতো গ্রন্থেও হবনের উল্লেখ পাওয়া যায়।
এই হবনের মাধ্যমে আমরা অগ্নিদেবের মাধ্যমে দেব-দেবীদের সান্নিধ্যে আসি এবং তাদের কাছে আমাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে ও আমাদের মনস্কামনা পূরণের জন্য অনুরোধ করে থাকি। যজ্ঞ এর শুধু ধর্মীয় সুবিধাই নেই, বৈজ্ঞানিক উপকারিতাও রয়েছে। হবনে (যজ্ঞ) ব্যবহূত কাঠ ও যে সব অন্যান্য উপকরণ দিয়ে যে ধোঁয়া তৈরি করা হয় তা অনেক উপকারি।
‘হবন’ থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলকে পরিশুদ্ধ করে। স্বাস্থ্য ও মনের জন্য হবনের অনেক উপকারিতা রয়েছে। হবনে অংশগ্রহণ করে অনেক রোগ এড়ানো যেতে পারে। এটি বাতাসে থাকা জীবাণুকেও মেরে ফেলতে সক্ষম। বলা হয়ে থাকে যে, ৯৪ শতাংশ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা ক্ষমতা রয়েছে হবনের (যজ্ঞ)। অতএব, এটি সময়ে সময়ে বাড়িতে করা উচিত বলে মনে করা হয়।