ধান, গম ছেড়ে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করলেন তরুণ কৃষক, লাভ শুনে অবাক চাষীরা

সময়ের সাথে সাথে মানুষের কৃষি ব্যবস্থা ও পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে। বিহারে এরকমই একটি ঘটনা চোখে পড়ল। গোপালগঞ্জের বাসিন্দা এক কৃষক তাদের ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে স্ট্রবেরি চাষ করা শুরু করলেন। লিচুর অনুরূপ এই ফল সাধারণ মানুষের অনেক বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এবং তার স্ট্রবেরির চাষ দেখতে দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে।

এই কৃষক মনে করেন স্ট্রবেরী চাষের জন্য বিহারের গোপালগঞ্জের মৃত্তিকা সর্বোত্তম। স্ট্রবেরী চাষের এই উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া গোপালগঞ্জের কৃষকদের এক নতুন পরিচয় দান করেছে। নিখিল গুপ্তা নামে এই কৃষকটি ব্যাঙ্গালোর ও পুনার কৃষকদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেই উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া চাষ করা শুরু করেছেন। এছাড়াও তিনি সরকারি ড্রিপিং সেচ প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন।

নিখিল স্ট্রবেরি চাষ করে এক নজির গড়েছেন। তিনি এক একরে স্ট্রবেরি চাষ করে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করেছেন। এক প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন গোপালগঞ্জের কৃষকরা কৃষি কাজের সাথে গ্ল্যামার চায়। এইজন্য গোপালগঞ্জের কৃষকদের চাই অনেক বেশি প্রচার। যাতে সাধারণ মানুষের কৃষিকাজের প্রতি আরো বেশি আকৃষ্ট হয়।

নিখিল বলেছেন বিহারের মতো স্থানে আমাদের উচিত উদ্ভাবনী কৃষি পদ্ধতি প্রয়োগ করা। এতে কৃষকরা অনেক বেশি উপকৃত হবে। স্ট্রবেরি চাষে কম খরচায় অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করা যায়। এই চাষের জন্য 10 ডিগ্রি থেকে 15 ডিগ্রি উষ্ণতার প্রয়োজন হয়। উদ্যানপালন অধিদপ্তর পরিচালক মহম্মদ নয়াজ বলেছেন যদি অক্টোবর-নভেম্বর মাসে স্ট্রবেরির বীজ বপন করা হয়।

তাহলে জানুয়ারি মাসে বেরিয়ে যাবে এবং মার্চ মাস পর্যন্ত তা থেকে স্ট্রবেরি পাওয়া যাবে। এই গাছ অত্যন্ত পুষ্টিকর। এখন শুধু কৃষকদের উচিৎ এগিয়ে আসা এবং এই অভিনব পদ্ধতি প্রয়োগ করা। কারণ অনেক জাতের স্ট্রবেরি আছে যেগুলো এখানকার বায়ুমন্ডলে হচ্ছে।