এক সময় ১০০ টাকায় করতেন অফিস বয়ের কাজ, এখন ধানের শিষ থেকে প্লাইউড বানিয়ে কামাচ্ছেন কোটি কোটি টাকা

কম বেশী সকল ব্যক্তি জীবনে সফলতা অর্জন করতে চায়। এজন্য সে ভাল বেতনের চাকরি খোঁজার চেষ্টা করে অথবা ব্যবসা শুরু করার চেষ্টা করে। নিজের জীবনকে সহজলভ্য করার জন্য অর্থ উপার্জনের পিছনে মানুষ ছুটে চলে। কিন্তু অনেক সময় অর্থ উপার্জনের তাগিদে প্রকৃতির ক্ষতি হয় সেটা মানুষের হুশ থাকে না।

আজকাল প্রত্যেকেই প্লাইউডের তৈরি আসবাবপত্র কম বেশি ব্যবহার করে থাকি। তবে জানেন কি, এই প্লাউডের তৈরি জিনিসপত্র, যেমন সোফা বা অন্যান্য আধুনিক জিনিসের জন্য প্রতিদিন দেশের শত শত গাছ কাটতে হয়। এরফলে প্রতিদিন প্রকৃতির ব্যাপক হারে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তবে আজ এমন এক ব্যবসায়ীর কথা বলব, তিনি গাছের ক্ষতি না করে খড় থেকে পাতলা কাঠ তৈরি করেন। সেই কাঠ দিয়ে প্লাইডের বিভিন্ন আসবাবপত্র বানিয়ে থাকেন।

সেই ব্যক্তি হলেন বিএল বেঙ্গানি। তাঁর চেন্নাইতে কোম্পানি রয়েছে। তাকে শহরের সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধরা হয়ে থাকে। তার বার্ষিক টার্নওভার কোটি কোটি টাকা হয়ে থাকে। তিনি হলেন প্লাইউড কোম্পানির মালিক। তবে তিনি গাছ না কেটে, কৃষকরা ধান এবং গম ফসল কাটার পর যে খড় ফেলে দেয়, তা থেকে প্লাইউডের জন্য কাঠ বানিয়ে নেন। তাছাড়াও ওই খড় পোড়ালেও প্রচুর পরিমাণে বাযু দূষণ হয়ে থাকে।

বি.এল.বেঙ্গানি মূলত রাজস্থানের বাসিন্দা। কিন্তু ১৯৭২ সালে তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে কোলকাতায় স্থানান্তরিত হয়েছিল। তিনি ছোট থেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে বড় হয়ে ওঠে। কিন্তু আর্থিক অবস্থার কারণে তাঁর দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করতে করতে হঠাৎ পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তিনি দিনের বেলা কাজ করতেন এবং সন্ধ্যায় স্কুলে পড়তেন। এতটা কষ্ট করে স্কুল কলেজে পড়াশোনা শেষ করে তিনি একটা সময় মাসে ১০০ টাকা বেতনের চাকুরীতে ঢোকেন। এরপর তিনি নিজের কোম্পানি শুরু করে সফলতা অর্জন করেন।