কান্নুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি, যার নাম ব্রিজিত কৃষ্ণ। তিনি কাজু ব্যবসাকে নতুন রূপ দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছেন। তাঁর উদ্ভাবনী ধারণা এতটাই প্রভাবিত হয়েছে সবাই, যে তার ধারণা এখন সুপারহিট হয়ে উঠে। তিনি গত চার মাসে ইরিত্তি নামের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে কাজুকে কোটিলেডেন অঙ্কুরিত কাজুতে রূপান্তরিত করেছে। তিনি এই ব্যবসা থেকে লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন।
আসলে ৪২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি লকডাউনের কারণে চাকরি হারিয়ে ছিলেন। তখন ৩ কুইন্টাল কাজু দিয়ে নতুন করে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি এখান থেকে উপার্জন করে লক্ষ লক্ষ টাকা। এখন তিনি অনেক জায়গা থেকে অর্ডার পাচ্ছেন যেমন- সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ফাস্ট-ফুড চেইন পর্যন্ত।
প্রায় সবাই ঐতিহ্যগতভাবে অঙ্কুরিত মাজিয়ান্দি ব্যবহার করে থাকে। এটি রাজ্যে কাজু বীজের বাণিজ্যিকীকরণের প্রথম প্রচেষ্টা। যদিও স্প্রাউটগুলি সবুজ শাক, সালাদ, স্ন্যাকস এবং মিল্কশেকের মতো খাবার তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে মটরশুঁটির সাধারণত স্ন্যাকস হিসাবে উপভোগ করা হয়। কেরালা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদারকাথা কাজু গবেষণা কেন্দ্রটি স্প্রাউট উৎপাদন করার প্রযুক্তি সরবাহ করেছিল, এরপর তিনি কাজু গাছ বিক্রি শুরু করেছেন।
কৃষ্ণা বলেছিলেন, লকডাউনের কারণে কোনো ক্রেতা ছিল না এবং মাটিতে পড়ে থাকা বাদামগুলি অঙ্কিত হয়ে অকেজো হয়ে যাচ্ছিল। আমরা তার সাথে বাড়িতে বিভিন্ন খাবারের চেষ্টা করেছি এবং যখন আমি এটা আমি আমার বন্ধুদের বলেছিলাম তারা সবাই এটি পছন্দ করেছিল। তারপর আমি সেগুলো দোকান এবং গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে শুরু করি।