আমাদের দেশে সম্প্রতি পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম অত্যধিক বেড়েছে। যে কারণে মানুষকে ভ্রমণের সময় অনেক টাকা খরচও করতে হয়েছে। জ্বালানির এই বর্ধিত দামে দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্তকে অনেক সমস্যার সসম্মুখীন হতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, লোকেরা তাদের ভ্রমণ এবং গণপরিবহনের জন্য অন্যান্য বিকল্পগুলিই খুঁজছে। এই সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারও পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর নির্ভরতা কমাতে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রচার করছে।
দেশে এখন ইলেকট্রিক স্কুটার এসেছে, কিন্তু ইলেকট্রিক গাড়ি এখনো বাজারে আসেনি। একটা, দুটো কোম্পানি ছাড়া এখনই বাজারে আসতে পারছে না এই ইলেকট্রিক গাড়ি। কিন্তু সৌরশক্তিতেও যে গাড়ি চলতে পারে তা মানুষ এখনো জানে না। এখন সৌর শক্তি জ্বালানীর একটি নতুন উৎস হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে, তাই এটি যানবাহনেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির অনেক সুবিধা রয়েছে, এটি খুব সস্তা এবং পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে।
এর অর্থ হল আগামী সময়ে আমাদের যানবাহন সৌরশক্তি অর্থাৎ সূর্যের আলোতে চলতে সক্ষম হবে। সম্প্রতি জানা যায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) একটি সোলার হাইব্রিড ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করেছে। ইসরো এই গাড়ি তৈরিতে ভারতীয় সম্পদ ব্যবহার করেছে। ইসরোর তৈরি এই গাড়িটি কেরালার রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে ইতিমধ্যেই প্রদর্শন করা হয়েছে। ইসরো বিজ্ঞানীরা এই সোলার কারকে পরিবেশ বান্ধব গাড়ি বানানোর দাবি করেছেন।
ইসরো এখন সোলার কারের খরচ কমাতে কাজ করছে, যাতে এই গাড়িটি সাধারণ মানুষের বাজেটে আনা যায়। ইসরোর দাবি অনুযায়ী এই সোলার গাড়িতে উচ্চ শক্তির লিথিয়াম ব্যাটারি লাগানো হয়েছে। এই ব্যাটারি সূর্যের আলোতে চার্জ হবে। বলা হয়েছে, অনন্য গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হল গাড়ির ওপরে সোলার প্যানেল তৈরি করা, ব্যাটারি ও সোলার প্যানেল ইন্টারফেস তৈরি করা।
পেট্রোল ডিজেল গাড়ি থেকে নির্গত ধোঁয়া দূষণ ছড়ায়, যা পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে। বিপরীতে, সৌর শক্তিতে চালিত গাড়ি থেকে কোনও দূষণ নেই। এই গাড়ি তৈরির খরচ কমানোর কাজ শুরু করেছে ISRO। এমতাবস্থায়, ISRO-এর সাফল্যের পরে, যত তাড়াতাড়ি পাবলিক প্রোডাকশনের রাজি হবে, তখনই টাটা এবং মারুতির মতো সংস্থাগুলি এই মডেলটি তৈরি করবে এবং এই গাড়িটিকে জনসাধারণের জন্য বাজারে আনবে।