মুখের ভেতরে ডিম রাখা বিশ্বের সবথেকে অদ্ভুত মাছ, এক একটি মাছের দাম ২.২৫ কোটি টাকা

কম বেশি আপনারা বাজারে বহু রকমের মাছ বিক্রি হতে দেখেছেন। তবে এমন একটি মাছও রয়েছে যার বাজার মূল্য কোটি টাকা। কারণ এই মাছটি খুবই দুর্লভ। এই একটি মাছের দাম প্রায় ২.২৫ কোটি টাকা। যতটা জানাযায়, এই মাছটি বাড়িতে রাখা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয় শাস্ত্রমতে। এটি একটি উন্নতির প্রতীক। এই মাছ ঘরে রাখলে অর্থ আসে,এবং উন্নতি বাড়ে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অনেক ভালোবাসা থাকে। সবচেয়ে বড় কথা হল এটি কোনো স্ত্রী মাছ নয়, এটি একটি পুরুষ মাছ।

বিষয়টি এখানেই শেষ নয়, ডিম থেকে বাচ্চা বের হওয়ার পরও কিছু কিছু বাচ্চা ভয় পেয়ে মুখের ভিতর ফিরে যায়। এই মাছ তাদের বাচ্চাদের খুবই ভালোভাবে যত্ন নেয়। এবং যতক্ষণ না তারা তাদের নিজেদের খাবার খুঁজে পেতে সক্ষম হয়, বা কোন বিপদ অনুভব করে, তখন তারা তাদের বাচ্চাদের মুখের মধ্যে ফিরিয়ে দেয়। এই মাছটির নাম “অ্যারোয়ানা”,তবে মাছটি ড্রাগন ফিশ নামেও পরিচিত।

অ্যারোয়ানার অনেক প্রজাতি পাওয়া যায়। তবে এই সব প্রজাতির মধ্যে এশিয়া অ্যারোওয়ানার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এই প্রজাতিটি বেশিরভাগ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে পাওয়া যায়। এসব মাছের নামও নির্ধারণ করা হয় তাদের বিভিন্ন রঙের ভিত্তিতে। চীনা সংস্কৃতি দ্বারা মাছকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাদের খ্যাতি তাদের জন্য ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় ভাবেই কাজ করে।

এই মাছগুলিতে সবুজ বৈচিত্র্য খুব বেশি পাওয়া যায়। ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও মালয়েশিয়ায় এই মাছ খুব সহজেই পাওয়া যায়। এশিয়ার মতো দেশে জ্যাকলিন মাছের বিভিন্ন উপ-প্রজাতিও এখন পাওয়া যায়। এছাড়া উত্তর ইন্দোনেশিয়ায় ইনকিরেড-টেইল্ড গোল্ডেন অ্যারোওয়ানা নামে একটি প্রজাতিও পাওয়া যায়।

অ্যারোয়ানা মাছের আকার প্রায় ৩৫ ইঞ্চি। অর্থাৎ ঘরের মধ্যে রাখতে হলে একটা বড় অ্যাকুরিয়াম দরকার। অন্যান্য মাছের তুলনায় অরোয়ানা মাছের প্রজনন বেশ দেরিতে হয়। এই মাছ তিন-চার বছরে একবার সম্পর্ক স্থাপন করে। স্ত্রী অ্যারোওয়ানা একবারে ৩০থেকে ১০০টি ডিম পাড়ে। আর এদের ডিম অন্যান্য মাছের ডিমের তুলনায় অনেক বড়। স্ত্রী মাছ ডিম পাড়ার সাথে সাথে পুরুষ মাছ এই ডিমগুলোকে তুলে নিয়ে অতিশীঘ্রই মুখের ভিতর রাখে।