রিলের গল্প কেও হার মানাবে রিয়েল লাইফের গল্প,এক সময়কার ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার থেকে আজ বলিউডের নামকরা অভিনেতা শাহিদ কাপুর

বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে হ্যান্ডসাম অভিনেতা হিসেবে সুপরিচিত শাহিদ কাপুর। তিনি বিভিন্ন ধরনের ছবি করেছেন। সেই সব ছবিতে তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকদের কাছে ধরা পড়েছে। তিনি হলেন বলিউডের সেই স্টার কিডদের মধ্যে একজন, যিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করার জন্য অনেক সংগ্রাম এবং উত্থান-পতনের মধ্যে মুখোমুখি হয়েছে।

তবে তিনি হাল ছাড়েননি। নিজের জায়গা শক্তপোক্ত করে নিয়েছেন। সম্প্রতি তাঁর ৪১ তম জন্মদিন পালন করা হলো। তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন দিল্লিতে, ১৯৮১ সালে ২৫ শে ফেব্রুয়ারি। তাঁর পিতা হলেন পঙ্কজ কাপুর, যিনি বলিউডের অভিনেতা এবং মাতার নাম হলো অভিনেত্রী নীলম আজমির। শাহিদের বয়স যখন মাত্র ৩ বছর। তখন তাঁর বাবা-মার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। এরপর শাহিদ কাপুর তার মায়ের সাথে দিল্লিতে চলে আসেন। সেখানে তিনি তাঁর পড়াশোনা শেষ করেন। ছোটবেলা থেকে তাঁর নাচ করতে খুব ভালো লাগতো। স্কুলের বিভিন্ন নাচের অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নিতেন। এরপর বলিউডে ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার হিসাবে তাঁকে দেখা যেত।

একসময়ের বড় বড় প্রধান অভিনেতা-অভিনেত্রী যেমন ঐশ্বরিয়া রায়, কারিশমা কাপুর, শাহরুখ খানের মত বড় তারকাদের পেছনেও ব্যাক ড্যান্সার হিসেবে নেচেছিলেন। তিনি পেপসি, কিটক্যাট এবং ক্লোজআপের বিজ্ঞাপনও দিয়েছন। তিনি ২০০৩ সালে ‘ইশক ভিশক,’ ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন প্রধান অভিনেতা হিসাবে।

ছবিটি সুপার হিট হয়েছিল। এরপর তিনি ‘ফিদা’, ‘দিল মাঙ্গে মোর’, ‘দিওয়ানে হুয়ে পাগল’, ‘পদ্মাবতী’, ‘কবীর সিং’, ‘উড়তা পাঞ্জাবের’, মত প্রমূখ ছবি করেছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ ছবি সুপারহিট হয়েছিল।

তবে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, একটা সময়ে তাঁর কাছে অডিশনে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়ার টাকা থাকতো না। খাবারের জন্যও টাকা থাকতো না। তিনি সেই সময় খুবই কষ্ট করে তাঁর জীবন যাপন করতেন। তা ছাড়াও একটি আফশোস হলো, তিনি বলিউডের অনেক ছবি রিজেক্ট করেছিলেন। তাঁর মধ্যে কিছু সুপারিহিট ছবি হল ‘রকস্টার’, ‘রাঝানা’, ‘রং দে বাসন্তী’, ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’, ‘ব্যাং ব্যাং’ প্রমুখ।