এই ৮ জন ব্যক্তির কারণেই এখনও বলিউডে টিকে রয়েছেন সালমান খান, ৩০ বছর পরও বজায় রয়েছে স্টারডম

৯০ এর দশকের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন সালমান খান। ৯০ এর দশক থেকেই সুপারহিট ফিল্ম দিয়ে সকলের মনেই জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেতা। সালমান খান ৩০ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন। তিনি ৩০ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিরই একটি অংশ হয়ে উঠেছেন। তার হিট ছবির পাশাপাশি কিছু ফ্লপ ছবি উঠে আসলেও সালমান খানের কাজে কোনো প্রভাব পড়ে না।

দীর্ঘদিন ধরেই বলিউডে রাজত্ব করছেন তিনি। এত সময় পেরিয়ে গেলেও সালমান খানের স্টারডমে প্রভাব পড়েনি। এই প্রতিবেদনে, সেই ব্যক্তিদের সম্পর্কে বলা হবে যাদের সাহায্যে সালমান খান এখনও বলিউডে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন।

কবির খান

এই তালিকায় প্রথম নামটি আসে কবির খানের। কবির খান সালমান খানের সাথে সুলতান, এক থা টাইগার এবং বজরঙ্গি ভাইজানের মতো হিট ছবিতে কাজ করেছেন। কবির খানের সহায়তায় সালমান খানের ক্যারিয়ার অনেক উপরে উঠেছে।

তবে ‘টিউবলাইট’ ছবির ব্যর্থতায় ভেঙে যায় এই দুজনের জুটি। কিছুদিন আগে খবর এসেছিল ‘বজরঙ্গি ভাইজান ২’-এর জন্য কবির খানের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন সালমান খান।

সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা

সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা সালমান খানের খুব ভালো বন্ধু। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা তার ছবিতে সালমান খানকে কাস্ট করতে পছন্দ করেন। তিনি সালমান খানের জন্য ‘কিক’, ‘মুজসে শাদি করোগি’, এবং ‘হর দিল জো পেয়ার কারেগা’-এর মতো ছবি নির্মাণ করেছেন।

শীঘ্রই সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা এবং সালমান খান জুটি ‘কাভি ঈদ কাভি দিওয়ালি’ ছবির মাধ্যমে বক্স অফিসে কামব্যাক করবে। সালমান খান সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার সাথে কাজ করার জন্য তার পারিশ্রমিক ১৫ শতাংশ কমিয়েছেন।

অতুল অগ্নিহোত্রী

সালমান খানের জামাইবাবু অতুল অগ্নিহোত্রীও সবসময় তাঁর প্রতি সদয়। অতুল অগ্নিহোত্রী তার ছবিতে সালমান খানকে কাস্ট করতে পছন্দ করেন। তিনি সালমান খানের জন্য ‘বডিগার্ড’, ‘ভারত’, ‘হ্যালো’, ‘হাম তুমহারে হ্যায় সানাম’ এবং ‘দিল নে জিসে আপনা কাহা’-এর মতো ছবি করেছেন। এর মধ্যে ‘বডিগার্ড’ ও ‘ভারত’ বক্স অফিসে দারুন আয় করেছিল।

আরবাজ খান

সালমান খানের ক্যারিয়ারকে প্রতিবারই সমর্থন করেছেন আরবাজ খান। সালমান খানের নতুন কেরিয়ার ভেঙে পড়লে আরবাজ খান পাশে এসে দাঁড়ান। তিনি তার ভাইয়ের জন্য ‘দাবাং’ সিরিজে কাজ করেছেন। আরবাজ খানের এই সিরিজটি বক্স অফিসে প্রতিবারই তোলপাড় সৃষ্টি করে।

এখন পর্যন্ত ‘দাবাং’-এর ৩টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এরপরও ভক্তদের মাথা থেকে ‘দাবাং’-এর ক্রেজ চলে যায় নি। এছাড়াও আরবাজ খান সালমান খানের জন্য ‘গরভ’, ‘পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া’ এবং ‘হ্যালো ব্রাদার’-এর মতো ছবিও নির্মাণ করেছেন।

সোহেল খান

সোহেল খানও ভাইকে কাজ দিতে পিছপা হন না। সালমান খানকে মাথায় রেখেই সোহেল খান অনেক ছবি নির্মাণ করেছেন। এই তালিকায় রয়েছে ‘রাধে’, ‘পার্টনার’, ‘রেডি’, ‘লাকি নো টাইম ফর লাভ’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস খান্না’ এবং ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়ুন কিয়া’-এর মতো ছবির নাম।

এর মধ্যে ‘রাধে’, ‘লাকি নো টাইম ফর লাভ’ এবং ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়ুন কিয়া’ বক্স অফিসে বানিজ্যিক ভাবে অসফল হয়েছে। এরপরও ভাইয়ের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ বন্ধ করেননি সোহেল খান।

সঞ্জয় লীলা বনসালি

সঞ্জয় লীলা বনসালি সালমান খানের ক্যারিয়ার গঠনে অনেক অবদান রেখেছেন। সঞ্জয় লীলা বনসালি এবং সালমান খান কয়েকটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন কিন্তু এই ছবিগুলি বক্স অফিসে সফল হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ও ‘খামোশি’র নাম।

কিছুদিন আগে খবর এসেছিল যে বছর খানেক পর আবার কাজ করতে চলেছেন সঞ্জয় লীলা বনসালি ও সালমান খান। এই দুজন একসঙ্গে একটি ছবিতে কাজ করবেন যার নাম হবে ‘ইনশাল্লাহ’। এই দুজনের জুটি আবার বলিউডে রাজত্ব করবে বলে অনুমান করছেন ভক্তরা।

সুরাজ বরজাতিয়া

সুরজ বরজাতিয়ার ছবি সালমান খানকে রাতারাতি বলিউডের সুপারস্টার বানিয়েছিল। সালমান খানের ক্যারিয়ার গড়তে সুরজ বরজাতিয়া ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ এবং ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর মতো সুপারহিট ছবি তৈরি করেন।

আদিত্য চোপড়া

আদিত্য চোপড়াও সালমানের খুব ভালো বন্ধু। সালমান খানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হাতছাড়া করেন না আদিত্য চোপড়া। সালমান খানের জন্য সুলতান ও এক থা টাইগার সিরিজ নির্মাণ করেছেন আদিত্য চোপড়া। আদিত্য চোপড়া খোলাখুলি সালমান খানের জন্য অর্থ ব্যয় করেন।