বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক বাদশা গানের জগতে নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছেন। তিনি তাঁর চমৎকার গান দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি তার ভিন্ন প্রকৃতির গানের জন্য সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। তাকে প্রায়শই র্যাপ গান করতে দেখা যায়। কিন্তু বাদশার বাবা চেয়েছিলেন, তিনি একজন আইএএস অফিসার হন কিন্তু বাদশার এবিষয়ে কোনো আগ্রহ ছিল না। তিনি একজন র্যাপার গায়ক হতে চেয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি তার বাড়িও ছেড়েছিলেন। আসুন আজ তাঁর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিন।
বাদশার আসল নাম আদিত্য প্রতীক সিং। তিনি যখন তাঁর গানের ক্যারিয়ার বলিউডে শুরু করেছিলেন, তখন তাঁর বলিউডে কোন বন্ধু ছিল না। তাই তাঁকে অনেকটাই সংগ্রাম করে তাঁর নিজের পরিচয় বানাতে হয়েছিল। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘গানের জন্য আমাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। আমাকে আমার বন্ধু, আমার বাবা-মা এবং পরিবার ছেড়ে যেতে হয়েছিল। এমনকি বাদশা হওয়ার জন্য আমাকে আদিত্য নামটা পরিবর্তন করতে হয়েছিল।
তবে তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তার বন্ধু জেসমিন। বাদশা এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, জেসমিন সবসময় তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে। যদিও জেসমিনের সঙ্গে তাঁর পরে প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। একটা সময়ে তারা বিয়েও করেন। শোনা যায়, বাদশার সাথে জেসমিনের প্রথম দেখা হয়েছিল, এক কমন ফ্রেন্ডের পার্টিতে। দুজনেরই গানের প্রতি আগ্রহ ছিল। তাই শীঘ্রই তাঁরা দুজনে বন্ধু হয়ে যায়। ধীরে ধীরে তাদের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয় এবং তাঁরা ২০১২ সালে গোপনে বিয়ে করেন। জেসমিন যেহেতু খ্রিস্টান পরিবারের মেয়ে ছিলেন, তাই খ্রিস্টান রীতি মেনে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল।
এখন বাদশা এক সন্তানের বাবা। বিয়ের পাঁচ বছর পর ২০১৭ সালে ১০ই জানুয়ারি তাঁদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান আসে। যদিও বাদশা তাঁর মেয়ের সাথে খুব কমই ছবি শেয়ার করে থাকেন। তিনি লাইম লাইটে থাকতে মোটেও পছন্দ করেন না। বাদশার ক্যারিয়ারে ‘গেন্দা ফুল’, ‘তারিফা’ এবং ‘আও কাভি হাভেলি পে’ প্রমূখ জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। তিনি ২০১৬ সালে ‘ভাখরা সোয়েগ’ গানটির জন্য পাঞ্জাবি সংগীত পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তাঁর অন্যান্য গানের জন্য তিনি অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
