ভয়ঙ্কর যুদ্ধে সম্মুখীন হচ্ছে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষরা। শোনা যাচ্ছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ঢুকে পড়েছে রুশ সেনারা। তবে তারা প্রবল প্রতিরোধের মুখোমুখি সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষের। দেশের সেনাবাহিনী পাশাপাশি দেশকে বাঁচানোর জন্য সাধারণ মানুষও হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। তবে আসন্ন ভবিষ্যৎ কি হবে সেটা সত্যি বলা যাচ্ছে না।
তবে একটা সময় ছিল, যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন (Putin) ইউক্রেনের এক মহিলা প্রধানমন্ত্রীকে প্রচন্ড ভয় পেতেন। ওই মহিলা হলেন ইউক্রেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নাম ছিল ইউলিয়া। তিনি দেশের বড় বড় পদের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর খ্যাতি সারা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি একবার প্রধানমন্ত্রী নন বরং দু-দুবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তিনি এতটাই সাহসী ছিলেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে একবার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, খোলাখুলিভাবে যুদ্ধে নামার জন্য তাঁর দেশের সাথে। সেই সময় রাশিয়া-ইউক্রেনকে একটু বুঝে চলতো। প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া একজন অসাধারণ রাজনীতিবিদ এবং একজন সফল ব্যবসায়ী নারী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি প্রচণ্ড সাহসী নারী ছিলেন।
ইউক্রেনের গ্যাসের ব্যবসা বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীর ইউলিয়ারও গ্যাসের ব্যবসা ছিল। অনেকেই তাকে গ্যাস নারী বলতো। তবে একবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্যাস-চুক্তি নিয়ে একটি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায়, দেশের বেশির ভাগ জনসাধারণ তাঁকে আর প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচন করেননি। তাঁকে রাষ্ট্রপতি ভেক্টরের কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে ৩ বছর রাখা হয়েছিল। তবে আজকে ইউক্রেনের বেশিরভাগ মানুষের মনে এটাই দুঃখের বিষয়, তারা যদি সেই সম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইউলিয়াকে নির্বাচন করতো, তাহলে দেশের এতটা খারাপ অবস্থা দেখতে হতো না।
