কেন দুবাই থেকে সোনা কিনে আনেন লোকজন, পেছনে রয়েছে চমকে দেওয়া কারণ

সোনা এই বিশ্বের সবচেয়ে দামী ধাতুগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু সবাই এটিকে কিনতে পারেন না। তবে প্রত্যেকেই এই ধাতুকে কিনে রাখতে চান। দেশীয় বাজারে সোনার দামের ওঠানামা ছাড়াও প্রায়ই শিরোনাম হয় যে বিমানবন্দরে সোনা পাচারকারী ধরা পড়েছে। পাচারকারী সোনা অনেক গুপ্ত ভাবে নিয়ে আসে। তারপরে এই সোনা চোরাচালানের জন্য সরাসরি দুবাই বা উত্তর পূর্বের যে কোনও দেশের সাথে যুক্ত হয়।

কিন্তু আপনি কি জানেন কেন মানুষ দুবাই থেকেই সোনা নিয়ে আসে, এর পিছনে রয়েছে একটি খুব আশ্চর্যজনক ঘটনা। প্রায়ই যখনই আমরা বিমানবন্দরে সোনা ধরার খবর পাই। সেই খবরে বেশিরভাগই দেখা যায় সেই ব্যক্তি দুবাই থেকে সোনা নিয়ে এসেছে, কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন তা কেন হয়?

১৩ ডিসেম্বর: কালো মরিচের প্যাকেটে সোনার বিস্কুট পাওয়া গেছে। ২০ ডিসেম্বর: স্যুটকেসের চাকায় লুকিয়ে আনা সোনা ধরা পড়ে। ২৪ ডিসেম্বর: শেভিং ট্রিমার থেকে ৫টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর: জাঙ্গিয়ায় লুকিয়ে ৩০ লাখ ৬৪ হাজার টাকার সোনা নিয়ে আসেন ৫৫ বছর বয়সী এক নারী। প্রকৃতপক্ষে, দুবাই থেকে সোনা চোরাচালানের সবচেয়ে বড় কারণ হল দামের বিশাল পার্থক্য। যেমন, ১ গ্রাম সোনার রেট ২১৬.০০ AED এবং ১০ গ্রামের রেট ২১৬০ AED।

ভারতীয় মুদ্রা অনুযায়ী রূপান্তর করলে তা আসে ৪৪১০৭ টাকা। অর্থাৎ দুবাই থেকে কেনা সোনা পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৪৪ হাজার টাকায়, যেখানে ভারতে এর হার বেশি। যদি আমরা এখন ভারতে সোনার হারের কথা বলি, তাহলে সেখানে দাম প্রায় ৪৯ হাজার টাকা। এমতাবস্থায় প্রতি ১০ গ্রামে প্রায় ৬ হাজার টাকা লাভ হয়। তাই মানুষ বেশিরভাগই সেখান থেকে সোনা আনতে পছন্দ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে খাঁটি সোনা যে দুবাইয়ে পাওয়া যায় তা এখন আর গোপন নেই। এর মানে হল যে যদি কোনও ব্যক্তি দুবাই থেকে ২২ ক্যারেট সোনা নিয়ে আসেন, তাহলে তিনি ২৪ ক্যারেটের দামে ভারতে বিক্রি করতে পারবেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রতি ১০ গ্রামের জন্য ৮০০০ রুপি লাভ রয়েছে।একটি নিউজ চ্যানেলের সাথে সাক্ষাৎকারে জয়পুর বিমানবন্দরের সহকারী কমিশনার ভারতভূষণ অটল জানান যে দেশ থেকে সোনা পাচারের সাথে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শ্রমিকরা জড়িত।

সহকারী কমিশনার অটলের মতে, বাইরের যেকোনো ফ্লাইট থেকে আসা যাত্রীদের মেটাল ডিটেক্টর সহ বিভিন্ন উপায়ে স্ক্রিনিং করা হয়। সংবেদনশীল দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখা হয়। তদন্তকালে অন্তর্বাস, টর্চ, জুতো, ব্যাগসহ লাগেজে লুকানো স্বর্ণ ধরা পড়ে। স্বর্ণ লুকানোর অর্থ হল, ব্যক্তি শুল্ক ফাঁকি দিচ্ছেন। এর পর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হয়।