অর্গানিক চাষ বদলে দিল বিজয়ের ভাগ্য, ৬ বিঘা জমিতে চাষ করে বার্ষিক আয় ৭ লাখের বেশি

কুল্লুর প্রাকৃতিক কৃষক বিজয় সিং বর্তমান পরিবেশে প্রাকৃতিক চাষের উপর জোর দেওয়া শুরু করেছেন। কুল্লু জেলার বিজয় সিং-এর ভাগ্য বদলে দিয়েছে এই প্রাকৃতিক চাষ। প্রাকৃতিকভাবে অনেক ফসল ফলিয়ে আজ তিনি লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। যদিও প্রথমদিকে বিজয় সিংকে পরিবারের বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল। সাফল্য পেয়ে পরিবারের কাছেই ফিরে আসেন তিনি। এখন তিনি ছয় বিঘা জমিতে প্রাকৃতিক চাষ করে বছরে সাত লাখের বেশি আয় করছেন।

স্নাতক শেষ করার পর, কুল্লু জেলার শোরান গ্রামের বিজয়, কৃষিকাজ শুরু করেন। ২০১৭ সালে, বিজয় সিং ইউটিউবের মাধ্যমে প্রাকৃতিক চাষ সম্পর্কে তথ্য নেন। প্রাথমিকভাবে তিনি তার জমিতে হালকা পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করার জন্য গোমূত্রকে ব্যবহার করেন। এরপর ২০১৯ সালে তিনি পালামপুরে প্রাকৃতিক চাষের প্রশিক্ষণ নেন। এই প্রশিক্ষণের পর প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মাঠে কাজ শুরু করেন। পরিবার এর তীব্র বিরোধিতাও করে। তিনি ছয় বিঘা জমিতে প্রাকৃতিক চাষ শুরু করেন।

ফলাফল দেখে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরাও খুশি হয়ে আজ সেই পরিবার বিজয়কে সহযোগিতা করছে। আজ ৪০০ টি আপেল এবং ১৫০টি নাশপাতির গাছ লাগানো হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি সার ব্যবহার করে আপেল গাছে উললি এফিডের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে।বিজয় সিং বলেন, ‘প্রাকৃতিক চাষ করে ভালো আয় করা যায় কিন্তু এর জন্য পর্যাপ্ত বাজার নেই।

আমার পণ্য সবজি বাজারে বিক্রি করতে হয়। আপেলের-এর জন্য আলাদা বাজার থাকা উচিত, তবেই লাভ হবে।’ বিজয় আরও জানান, ‘শুরুতে প্রাকৃতিক চাষ শুরু করতে ভয় ছিল। আগে আমার ক্ষেতের মাটি এত শক্ত ছিল বলার নয়, এখন মাটি হয়ে গেছে ভঙ্গুর।’ মটর, আপেল, নাশপাতি, শিম, ভুট্টা, টমেটো চাষ করে তিনি বার্ষিক মোটা টাকা আয় করছেন। আগে রাসায়নিক চাষে তার বাৎসরিক ব্যয় আসত প্রায় ৪০ হাজার। যার কারণে তিনি প্রায় চার লাখ টাকা আয় করতে পারতেন না। এখন ব্যয়ও মাত্র ৭ থেকে ১০ হাজার এবং আয়ও বেড়েছে। ফসলের উৎপাদনশীলতাও বেড়েছে।