হেলিকপ্টারে চড়ে এলেন কণে, জঙ্গলের মাঝে হওয়া বিয়ের খরচ দেখে হতবাক লোকজন

দেশে নকশাল ঘাঁটির বস্তার এলাকাটি লাল সন্ত্রাসের কারণে বিখ্যাত। শুধু দেশে নয় বিশ্ব জনপ্রিয়তা আছে। এই জায়গাতেই এখন অন্য বিষয় নিয়ে আজকাল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে, এখানে হেলিকপ্টার করে জগদলপুর থেকে বিজাপুর পৌঁছেছিলেন এক নববধু। এরপর থেকেই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এই বিয়ে।

বিজপুরের এলাকায় হেলিকপ্টার দেখে সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিল। কারণ এই হেলিকপ্টারে কোন সৈনিক নয়, তাঁর জায়গায় লাল জোড়া পরা একজন নববধূ এবং তার পরিবার পৌঁছেছিলেন। তাঁর সাথে যার বিয়ে হয়েছে, তিনি হলেন একজন ঠিকাদার। ওই ব্যক্তির নাম সুরেশ চন্দ্রকর। তাঁর সাথে বিয়ে হয়েছে জগদলপুরের হাট কচোড়ায় বসবাসকারী বিষ্ণু সাহর মেয়ে রেণুকার সাথে।

সুরেশ হলেন তিনটি ইনফ্রা প্রকল্পের মালিক। তিনি ধুর নকশাল এলাকার বাসিন্দা। তিনি মহার সমাজ ও বৌদ্ধ ফেডারেশনের ছত্রিশগড়ের বিজাপুর জেলার সভাপতি। আসলে মহাড় সমাজে কনেকে বরের বাড়িতে শোভাযাত্রা করে নিয়ে যাওয়ার রীতি রয়েছে। সুরেশ তাঁর স্ত্রী রেণুকা ভার্মাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ‘ যেদিন আমি তোমাকে বিয়ে করব। সেদিন তোমার জন্য একটি হেলিকপ্টার নিয়ে আসবো। সেটা করে তুমি তোমার শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছাবে।’

সুরেশ তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন। তিনি বস্তার থেকে বিজাপুর পর্যন্ত তাঁর বউকে হেলিকপ্টারে করে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে এলেন। এরপর তাঁকে মার্সিডিজ গাড়িতে করে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হল। বিবাহটি সম্পন্ন হয়েছিল ২৩শে ডিসেম্বর এবং ২৪শে ডিসেম্বর। বিয়ের খরচ হয়েছে ৩ কোটি টাকার উপরে। এই সমস্ত খরচ সুরেশ নিজেই বহন করেছেন।