নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে ৯ টি তথ্য, ৮ নাম্বারটি বেশিরভাগ ভারতীয় জানেন না

আজ ২৩শে জানুয়ারি, আজকে স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন বীর পুরুষের জন্মগ্রহণ হয়েছিল। তিনি আর কেউ নন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস। দেশ স্বাধীন করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান দেশের মানুষ কখনোই ভুলতে পারবেন না। তিনি নিষ্ঠুর ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। জেনে নিন তার সম্পর্কে কিছু তথ্য: ১) এই মানুষটি ছোটবেলা থেকেই বিপ্লবী চিন্তাভাবনার মনোভাব পোষণ করেছিলেন।

ছোটবেলায় তিনি বিপ্লবিদের সাহায্য করতেন। তিনি ওড়িশার কটক স্কুলে প্রাথমিক পড়াশুনা করেছেন। ২)এরপর হাই সেকেন্ডারি পড়ার জন্য রাভেনশ কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি খুবই মেধাবী ছাত্র ছিলেন তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোলকাতা থেকে প্রথম হয়েছিলেন। তিনি ১৯১৮ সালে স্কটিশ চার্জ কলেজ থেকে বি.এ. পরীক্ষায় সম্মানের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।

৩) সুভাষচন্দ্র কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ফিজউইলিয়াম হয়ে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার সময় দিয়ে খুবই ভালো নাম্বার করে চাকরির নিয়োগপত্র পেলেও তিনি সেই নিয়োগপত্র প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘কোন সরকারের সমাপ্তি ঘোষণা করার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হল তা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া।’ ৪)দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেতাজি সোভিয়েত ইউনিয়ন, জার্মানি ও ইম্পেরিয়ার প্রত্যেকটি দেশে তিনি ভ্রমণ করেছিলেন। শুধু ভ্রমণই করেননি সেই সব দেশের সঙ্গে জোট বেঁধে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি একত্রিত করেছিলেন।

৫) তাঁর জীবনের ২০ বছরে মধ্যে তিনি ১১ বার গ্রেপ্তার হয়ে ব্রিটিশ সরকারের কাছে জেলে যেতে হয়েছিল। তাঁকে এক জেলে না রেখে ভারত এবং রেঙ্গুনের বিভিন্ন জেলে রাখা হতো। ৬) তিনি কখনোই বিশ্বাস করতেন না গান্ধীজীর অহিংসার নীতিগুলো। তিনি মনে করতেন এই অহিংসা নীতিগুলো মানুষকে আরো পরাধীন করে রাখবে এবং মানুষের ওপর ব্রিটিশ সরকারের আরো অত্যাচার বাড়বে।

৭)ভারত থেকে ছদ্মবেশ ধারণ করে জার্মানিতে গিয়ে আজাধীন ফৌজ গঠন করেছিলেন তিনি। ওখানে পূর্ব এশিয়ার ভারতীয়দের অনুপ্রাণিত করেছিলেন দেশের স্বাধীনতার জন্য। ৮) তিনি ভগবত গীতার উপর বিশ্বাস রাখতেন এবং সব সময় নিজের কাছে গীতার একটা ছোটো কপি রাখতেন।  ৯) নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রথম জীবনে রাজনীতিবিদ হতে চাননি। তিনি সন্ন্যাসী হতে চেয়েছিলেন। পরে রামকৃষ্ণ মিশনের এক সন্ন্যাসীর নির্দেশে দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে গিয়ে রাজনীতিতে যান।

সর্বজনীন ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা, জাতীয়বাদী চিন্তাভাবনা, সমাজসেবা এবং সংস্কারের ওপর সঠিক মনোভাব রাখতেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী পিনজো ২০০৭ সালে ২০ আগস্ট তিনি কোলকাতায় নেতাজির মূর্তি পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি নেতাজির পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং তাদের জানিয়েছিলেন নেতাজি এমন একজন মানুষ যিনি জাপান দেশের মানুষদের মধ্যে শক্তিশালী মানসিকতার অনুপ্রেরণা জুগিয়ে ছিলেন।