এক সময় করতেন চৌকিদারের কাজ, আজ কোটি কোটি টাকার মালিক, রইল পুরো সম্পত্তির হিসেব

সিনেমা জগৎ নিয়ে জনগণের উন্মাদনার শেষ নেই। প্রতিদিন কোন না কোন তারকা অবশ্যই থাকবেন খবরের শিরোনামে। বলিউডে খুব কম অভিনেতাই আছেন যারা খুব অল্প সময়ে নিজের একটা বিশেষ পরিচয় তৈরি করেছেন। এমনই একজন অভিনেতা “নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী”। যিনি অভিনয়ের প্রতি কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার ভিত্তিতে আজকের এই সফল অবস্থানে পৌঁছেছেন।

নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী খুবই সহজ সরল মানুষ বলেই জানা যায়। তার অভিনয় শুধু দেশেই নয় বিদেশেও পছন্দ করেন জনগণ। আসলে নওয়াজের যে নজিরটা আজ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে পৌঁছানোর জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। একটা সময় ছিল যখন দুবেলা খাবারও ঠিকমতো খেতে পেতেন না এই অভিনেতা।

মুম্বাইয়ে স্ট্রাগলের সময়টা এমন ছিল যে একবেলা খাবার খেলে অন্য সময়ে না খেয়েই থাকতে হতো তাকে। সে অনেকবার হাল ছেড়ে দিয়ে গ্রামে ফিরে যাবার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু গ্রামের মানুষের ঠাট্টার ভয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন নি। মনে-মনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন সফল অভিনেতা হওয়ার।

প্রায় ৫ বছর মুম্বাইয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছিল নওয়াজকে। নওয়াজ একজন সাধারণ চেহারার মানুষ ছিলেন, যার জন্য হিরোর চরিত্রে কাজ পাওয়াটা খুব কঠিন ছিল তার পক্ষে। পরবর্তীতে “অনুরাগ কাশ্যপের”, ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন নওয়াজ। এরপর তিনি ‘ফিরাক’, ‘নিউইয়র্ক’ এবং ‘দেব ডি’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছিলেন।

সুজয় ঘোষের ‘কাহানি’ ছবিতে তাঁর কাজ প্রশংসিত হয়েছিল। ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’ আসার আগেই নওয়াজ তারকা হয়ে গিয়েছিলেন। বাবু মোশাইয়ের চরিত্র হোক বা বালাসাহেব ঠাকরে, নওয়াজ সব চরিত্রেই ভক্তদের মন জয় করেছিলেন।নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী আজ ইন্ডাস্ট্রির বড় এক তারকার নাম। ২০২১ সালে নওয়াজের মোট সম্পদ ১৩ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯৬ কোটি টাকা।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নওয়াজউদ্দিন প্রতি মাসে ১ কোটি টাকারও বেশি আয় করেন। এই অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ১২ কোটি টাকারও বেশি। তিনি ২০১৭ সালে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছিলেন যার মূল্য ১২.৮ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। তিনি মার্সিডিজ বেঞ্চ, বি.এম.ডব্লিউ এবং অডি সহ বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ির মালিকও।