অদ্ভুত ছিল লতা মঙ্গেশকরের গলা! ৯২ বছরেও এত সুরেলা থাকার রহস্য জানাচ্ছে বিজ্ঞান

সুরের দেবী লতা মঙ্গশকার চিরতরে বিদায় নিলেও রেখে গেলেন তাঁর গাওয়া অজস্র গান। তাঁর কন্ঠ এমন শ্রুতি মধুর, কোন মানুষের চোখে জল এনে দিতে পারতো। তিনি একজন অসাধারণ প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর গলায় যেন অজস্র সুর ছিল। তিনি রোমান্টিক গান যেমন গেয়েছেন, তেমনি দেশাত্মবোধক গান গেয়েছেন। এছাড়াও তিনি আঞ্চলিক ভাষায় গান গেয়েছেন। তিনি ৩০টি ভাষায় ৩০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। তিনি অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিল।

তাঁর কন্ঠের আওয়াজ আর পাঁচটা মানুষের থেকে যথেষ্ট আলাদা ছিল। তাঁর গলায় যেন সুরের বন্যা বইতো। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করেছে তাঁর এত সুন্দর শ্রুতি মধুর গানের আওয়াজে রহস্য কি। বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, একজন মানুষ সুন্দর গান করার পেছনে থাকে মুখের পিছনের দিকে একটি মাংসপেশি। এটা ভালো কথা বলতে এবং গাইতে সাহায্য করে। এই মাংস পেশীকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় ভয়েস বক্স। ইংরেজি ২ টি ‘v’ অক্ষরের মতো দেখতে হয় এই মাংস পেশীটি।

এই ল্যারিঙ্কস অংশটি পাতলা ঝিল্লি দ্বারা ঘেরা থাকে। এর সাহায্যে ভাইব্রেট করে ভালো গান গাওয়া সম্ভব হয়। তার সাথে ফুসফুসেও কোন সমস্যা দেখা যাবে না। ফুসফুস ভালো এবং সুস্থ থাকবে। যখন বায়ু মানুষের শরীরে পৌঁছায়, এরপর সাদা লিগমেন্টটি প্রয়োজন মতো ব্যবহার করে ভালো আওয়াজ বেরোয়।

কোন গান ভালো করে করার সময় নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের বেশ প্রয়োজন হয়। এই শ্বাসবায়ু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ডায়াফ্রাম, পেটের পেশী, পিঠের পেশী এবং পাঁজরের মধ্যবর্তী পেশী। ভোকাল কর্ডের মধ্যে ছোট ছোট মাংস পেশী থাকে। এটি গলার ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। এখান থেকে শব্দ বের হয়। ভালো গান গাওয়ার জন্য প্রতিদিন রেওয়াজের প্রয়োজন হয়। যে ব্যক্তি প্রতিদিন যত বেশি রেওয়াজ করবে, তত বেশি সে তার গানের গলার আওয়াজ খুব উঁচু থেকে কিংবা নিচুতে নামিয়ে আনতে পারবে।