নিজের বাড়িকে লতার মন্দির বানিয়েছেন এই ব্যাক্তি, লতাজির কারণেই করেননি বিয়ে

গত তিনদিন ধরে স্বর কোকিলা লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ। প্রত্যেকেই তাঁর নিজের মতো করে লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। তাঁর মায়াবী কন্ঠে জন্য তাঁর নাম রাখা হয়েছে স্বর কোকিলা। তাঁর ভক্তের সংখ্যা দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে। এমন অনেক ভক্ত রয়েছেন যারা তাঁকে সংগীতের দেবীর মত পূজা করে থাকেন।

আজ আপনাদের এমন এক ভক্তের কথা বলবো, যিনি তাঁর বাড়ির প্রতিটি কোনায় লতার নামে রেখেছেন। সেই ব্যক্তি হলেন মিরাটের বাসিন্দা, গৌরব শর্মা। তাঁর লতা মঙ্গেশকরের প্রতি আবেগ সবাইকে স্তব্ধ করে দেবে। তিনি তাঁর পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন করেছেন কন্ঠের রানী লতা মঙ্গেশকরকে। গৌরব পেশায় একজন শিক্ষক।তিনি লতামঙ্গেসকারকে দেবতার মত পূজা করে থাকেন। তিনি ৩০ বছর ধরে এই স্মৃতিগুলো জোগাড় করেছেন।

লতা দিদির প্রতি তাঁর এতই আবেগ, তিনি ১৯২৯ সালের কয়েন সংরক্ষণ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, যেহেতু লতাজি ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই তিনি সেই সময়ের কয়েন খুজে বের করে সংরক্ষণ করেছেন। লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে লেখা প্রতিটি বই তাঁর কাছে আছে। তাঁর বাড়িতে পাকিস্তানি ও অস্ট্রেলিয়ার লেখকদের লেখা বইও শোভা পাচ্ছে। বাড়িতে বড় থেকে ছোট শতাধিক লতা মঙ্গেশকরের ছবি রয়েছে। তাঁর রুমের দেওয়ালে লতাজির একটি বড়ো ফ্রেমে করা ছবি রয়েছে।

লতা মঙ্গেশকরের খবরে তাঁর পোশাক পরিপূর্ণ রয়েছে। তাঁর বয়স ৩৬ বছর, কিন্তু তিনি এখনো বিয়ে করেননি। তাঁর কারণ হলো, তিনি তাঁর জীবনে লতা মঙ্গেশকর ছাড়া অন্য কোনো নারীর স্থান দেবেন না। তাই তিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত লতা দিদিকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি লতা মঙ্গেশকারের সাথে বহুবার দেখা করেছেন। তবে তাঁর সাথে লতাজির ছবি একসাথে তোলা না থাকলেও লতাজির প্রতি তাঁর ভক্তি সব কিছু বলে দেয়। তাই লতাজির মৃত্যুটা তিনি সহজে মেনে নিতে পারছেন না। লতা দিদির কথা বলতে গিয়ে তাঁর চোখ প্রায় ভিজে যাচ্ছে। তিনি তাঁর বাড়িটি লতা মিউজিয়াম হিসাবে ঘোষণা করার আবেদন জানিয়েছেন সরকারকে।