অভিষেকের সাথে নিজের মেয়ের বিয়ে করাতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন হেমা মালিনী, তবে এই একটি কারণেই ভস্তে যায় সব প্ল্যান

৭০ এর দশক বা ৯০ এর, বলিউড নিয়ে জনগণের একটু আলাদাই উত্তেজনা লক্ষ করা যায় সর্বদাই। বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বিখ্যাত অভিনেত্রী “হেমা মালিনী”। তিনি ছিলেন ৭০ এর দশকের একজন প্রতিষ্ঠিত সফল অভিনেত্রী। হেমা মালিনী তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। এবং তার অভিনয়ের পাশাপাশি তার সৌন্দর্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ে রাজত্ব করেছেন। হেমা মালিনী এখন চলচ্চিত্র থেকে দূরে থাকলেও বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তার ভক্তের সংখ্যা কম নয়।

হেমা মালিনীকে তার সৌন্দর্যের জন্য ‘ড্রিম গার্ল’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। হেমা মালিনী বলিউড ইন্ডাস্ট্রির প্রবীণ অভিনেতা ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেছিলেন। তবে হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্রের বিয়ের বিষয়টা খুবই জটিল ছিল। ধর্মেন্দ্র আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন এবং তার সন্তান ও ছিল। ধর্মেন্দ্র হেমা মালিনীর প্রেমে সম্পূর্ণ পাগল ছিলেন, যার কারণে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্র “এশা দেওল” এবং “অহনা দেওল “নামে দুই কন্যার বাবা-মা হন। হেমা মালিনীর মেয়ে যখন বিয়ের জন্য উপযুক্ত হয়ে ওঠেন, তখন তিনি চেয়েছিলেন এশা দেওল তার পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করুক। কিন্তু হেমা মালিনী যাকে জামাই বানাতে চেয়েছিলেন। তিনি আর কেউ নন, শতাব্দীর মেগাস্টার “অমিতাভ বচ্চনের” ছেলে “অভিষেক বচ্চন”।

হেমা মালিনী এবং অমিতাভ বচ্চন বহু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন এবং তারা দুজনেই ভালো বন্ধুও। এমন পরিস্থিতিতে হেমা মালিনী চেয়েছিলেন তাদের বন্ধুত্ব আত্মীয়তায় পরিণত হোক। ঐ সময়ে, হেমা মালিনী অমিতাভ বচ্চনের পরিবার এবং তার ছেলে অভিষেক বচ্চনকে খুব ভালভাবে জানতেন।
হেমা মালিনী জানতেন যে অভিষেক বচ্চন একজন সংস্কৃতিবান এবং সম্মানিত ব্যক্তি ও খুবই জনপ্রিয়।

হয়তো এই কারণে, ড্রিম গার্ল খুব প্রভাবিত হয়েছিল অভিষেকের ওপর। তিনি চেয়েছিলেন অভিষেক বচ্চন তার পরিবারের একজন অংশ হয়ে উঠুক। জানা যায়, হেমা চেয়েছিলেন মেয়ে ঈশার সাথে অভিষেকের বিয়ে দিতে কিন্তু ঈশা দেওল এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না। কারণ অভিষেককে -ঈশা ভাই হিসেবে দেখতেন। তাই ঈশার পক্ষে বিয়েটা সম্ভব ছিলোনা।