ভারতের প্রথম ৭ তল বার্ড হাউস, ৮ লাখ টাকা খরচে তৈরি এই বিল্ডিংয়ে থাকতে পারবে ৩ হাজার পাখি

মানুষের বাসস্থান শুরু হয়েছে কুটির থেকে। সভ্যতার অগ্রগতিতে মানুষের বাসস্থানেও হয়েছে আমূল পরিবর্তন। আর্থিক দুর্বলতা সম্পন্ন মানুষরা এখনও কুটিরে বাস করলেও মধ্যবিত্ত বা ধনী মানুষেরা বড়ো সব রকমের সুবিধা যুক্ত বাড়ী, বহুতল ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। মানুষের বাসস্থানে পরিবর্তন হলেও ; মানুষের অতি জনপ্রিয় পোষ্য পাখির বাসস্থান সেরকম নজর কাড়ার মত হয় না।

 

পাখির বাসস্থান বলতে আমরা সাধারণত গাছ বা পাখির খাঁচাকে বুঝি। কিন্তু সম্প্রতি নাগৌরে এক ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেছে। রাজস্থানের নাগৌরে দেশের প্রথম সাততলা বিশিষ্ট কবুতরস্থল নির্মিত হয়েছে। 24 ঘণ্টা জল ও পাখির খাবারের সুবিধাযুক্ত তিন হাজার পাখির ঘর বিশিষ্ট এই ভবনে আলাদা আলাদা ফ্লোর ও ফ্ল্যাট বানানো হয়েছে। পাখিদের জন্য প্রতিদিন 5 থেকে 6 বস্তা ধান দেওয়া হয় এবং তাতে মাসে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী 65 ফুট এই কবুতরস্থল নির্মাণে আজমিরেরর চঞ্চলদেবী বলচাঁদ লুনাওয়াত ট্রাস্ট প্রায় 8 লক্ষ টাকা খরচ করেছে। 2014 সালে 14 ই জানুয়ারী সাধকের রূপ মুনি ও বিনয় মুনি সর্বপ্রথম এটির উদ্বোধন করেছিলেন। এখন সম্প্রতি 26 শে জানুয়ারি জৈন সম্প্রদায়ের এক মুনি দ্বারা উদঘাটিত হয় এটি হয়ে উঠবে কবুতরস্থল পাখিদের আবাসস্থল।

নাগৌরে পিহ গ্রামে শ্রী বর্ধমান গুরু কমল কানাইয়া বিনয় সমিতির লোকজন এবং প্রায় কুড়ি জন যুবক এর উদ্যোগে প্রথমেই একটা চালা তৈরি হয়েছিল।আবার সেখানে দ্বিতীয়বার সাততলা একটা কবুতর আবার তৈরি করা হয়েছে। কানাইয়া বিনয় সমিতির লোকজন বলেন যে এই কবুতরস্থল তৈরি হয়েছে একমাত্র রূপ মুনির অনুপ্রেরণায়।

পাখি সেবার এই মহৎ কাজে দুই বিঘা জমির ওপর জৈন সম্প্রদায়ের অনুদানের এক কোটি টাকা দিয়ে পাখির একটি পার্কসহ একটা এই ভবন তৈরি করা হয়েছে যেখানে ছোট বাচ্চারা খেলতে আসে। এই কবুতরস্থলটিতে একটা প্রার্থনাগৃহ রয়েছে যেখানে সকাল-সন্ধ্যা অনেক বৃদ্ধরা প্রার্থনা করতে এবং পাখিদেরকে খাবার দিতে আসেন। তাছাড়া এখানে 400 টি বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে যার মধ্যে একটি হচ্ছে অশোক গাছ।

ট্রাস্ট থেকে যে টাকা কবুতরস্থলের খরচের জন্য আসে তা ব্যাংকে FD হিসেবে জমা হয়। এখনো পর্যন্ত জমায়িত এই টাকার পরিমাণ হচ্ছে প্রায় 50 লক্ষ টাকা। লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে মূল টাকা পুরোপুরি এখনো খরচ হয়নি ; এখনো পর্যন্ত সুদের টাকা দিয়ে পাখিগুলোর সমস্ত খরচা চলছে।