শুধুমাত্র পেয়ারা চাষ করে মধ্যপ্রদেশের কৃষক ভাই আমদানি করছেন মাসিক লক্ষাধিক টাকা,ফলন ৬৫ টন

বর্তমানে অধিকাংশ কৃষকই ঐতিহ্যবাহী কৃষিকাজ ছেড়ে উদ্যান চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। প্রত্যেক কৃষকের উচিত চাষাবাদ ও উদ্যান পালনের বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা, যাতে তারা আরও ভালো উৎপাদন ও ভালো আয় পেতে পারেন।আজ আমরা আপনাদের এমন একজন কৃষকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো যারা পেয়ারা চাষ করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করছেন।

আমরা আজ মধ্যপ্রদেশের “দীনেশ বাগগদ” এর কথা বলতে চলেছি। যিনি ধর জেলায় অবস্থিত সাজোদ গ্রামে বসবাস করেন। যখন তিনি তার কৃষিকাজ থেকে ভাল লাভ করতে পারছিলেন না তখন তিনি অন্য কিছু করার সিদ্ধান্ত নেন। আজ থেকে ১০ বছর আগে তিনি উদ্যান চাষ শুরু করেন এবং আজ তার বাগানের পেয়ারা শুধু দেশেই নয় বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।

দীনেশ বাবু জানান, যখন গতানুগতিক চাষাবাদে ক্ষতি হতে লাগলো তখন বুঝতে পারছিলাম না যে কি করবো? এরপর তিনি এলাকায় অবস্থিত কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে যোগাযোগ করেন। এবং রায়পুর থেকে থাই পেয়ারার গাছ এনে প্রথমে তিনি প্রায় ২ হেক্টর জমিতে পেয়ারার চাষ শুরু করেন। তার চাষের প্রায় ১.২ হেক্টর এলাকায় যথারীতি ফসল (পেয়ারা) পাচ্ছেন এবং বাকি এলাকায়ও কিছু দিনের মধ্যে ফলন শুরু হয়ে যাবে। এছাড়াও পেয়ারা বাগানের পাশাপাশি আদা, ধনে, পেঁয়াজ ও রসুনের চাষও করেছেন তিনি।

তাদের উৎপাদিত পেয়ারা খুচরো বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি এবং পাইকারি দাম প্রতিকেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা। তথ্য স্বরূপ জানিয়ে রাখি, মধ্যপ্রদেশের কৃষকরা প্রায় ৩৯৮.৬২ একর জমিতে ফল চাষ করছেন। তবে পেয়ারা চাষের কথা বললে, ২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৭৬ হাজার হেক্টর জায়গা পেয়ারা চাষেই ব্যবহার করা হয়েছে।