এক ছোট ফ্যাক্টরি থেকে আজ ১২ হাজার কোটি টাকার কোম্পানি, কানপুরের দুই ভাই এর তৈরি করা ঘড়ি ডিটারজেন্ট যা আজ গোটা বিশ্ব খ্যাত

দেশে এমন লোক কমই আছে, যারা ঘড়ি ডিটারজেন্ট পাউডার নাম শোনেননি। ঘড়ির ডিটারজেন্ট নামটা মাথায় এলে একটা ট্যাগলাইন মাথায় আসে। সেটি হল ‘আগে ব্যবহার তারপর বিশ্বাস’। এইটা ট্যাগলাইনটি ভারতের প্রতিটি শিশুর কাছে পরিচিত। তারা এটাও জানে যে এই ট্যাগলাইনটি ঘড়ি ডিটারজেন্ট পাউডার উপস্থাপন করে থাকে। চলুন জেনে নিন ঘড়ি ডিটারজেন্ট পাউডারের যাত্রার গল্প।

১৯৮৭ সালে কানপুরের দুই ভাই মুরলিধর জ্ঞানচন্দ্রানি এবং তার ছোট ভাই সুবিমল জ্ঞানচন্দ্রানি এই ব্যবসাটি শুরু করেছিলেন। তাঁরা প্রথমে ফজলগঞ্জের ফায়ার স্টেশনের কাছে একটি ছোট ডিটারজেন্ট পাউডারের দোখান খোলেন। ওই কারখানার নাম তাঁরা দিয়েছিল মহাদেব সোপস প্রাইভেট লিমিটেড। তবে কারখানা আকার ছোট হওয়ার কারণে বেশি দিন চলেনি। কিন্তু তাঁরা দুই ভাই হাল ছাড়েননি বরং তাঁরা তাঁদের মনোবল বজায় রেখেছিলেন।

তারপর তাঁরা দুজনে মিলে মহাদেব সোপস প্রাইভেট লিমিটেডের অধীনে ঘড়ি ডিটারজেন্ট পাউডার চালু করেন। সেসময় বাজারে বড় এবং সস্তার ডিটারজেন্ট হিসাবে রাজত্ব করছিল নির্মা ব্র্যান্ড। এরকম অবস্থায় ঘড়ি ডিটারজেন্ট বাজারে আনা কঠিন ছিল। কিন্তু দুই ভাই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সুন্দর একটা ট্যাগ লাইন বানিয়েছিলেন। ট্যাগ লাইনটি হল, ‘আগে ব্যবহার করুন, তারপর বিশ্বাস করুন।’ যার কারণে বাজারে ঘড়ি ডিটারজেন্টএর আলাদা পরিচয় হয়ে ওঠে। আজও বাজারে ঘড়ি ডিটারজেন্ট পাউডার চলছে।

সেসময় অন্যান্য ডিটারজেন্ট পাউডার রং ছিল হলুদ এবং নীল। কিন্তু ঘড়ি ডিটারজেন্ট সাদা রঙের পাউডার বের করেছিল। তা ছাড়াও এই পাউডারের মান ভালো ছিল। এটার দামও ছিল খুব কম। যার কারণে এটি সমগ্র উত্তরপ্রদেশে একটি অনন্য ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। ধীরে ধীরে এই পাউডার তার গুণমান এবং ট্যাগলাইনের কারণে সারা ভারতে রাজত্ব করতে শুরু করে।