৯৯% বেশি মানুষ মন্দিরে প্রবেশের আগে করেন এই ভুলগুলি, ভুলেও করবেন না এই ভুল নাহলে মুছে যাবে জীবনের সমস্ত পুণ্য

সকলেই নিজের বাড়িতে দেবতা পূজা করে থাকেন। তাছাড়াও মানুষ মন্দিরে গিয়ে ভগবানকে পুজো করেন ও দেবতার আশীর্বাদ পেতে চায়। মন্দিরকে অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলা হয়ে থাকে। মন্দিরে গিয়ে প্রশান্তি অনুভব করা যায়। সনাতন ধর্মে ভগবানের দর্শনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। কিন্তু মন্দিরে যাওয়ার সময় কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার। এই ধরনের ভুল প্রায়শই সবার হয়ে থাকে। যার ফলে মন্দিরে গিয়ে পুণ্যফল প্রাপ্তি হয় না।

বেশিরভাগ সময় মন্দিরে প্রচুর ভিড় থাকে। তখন মানুষ একে অপরে সামনে দাঁড়িয়ে থাকে ভগবানের দর্শন করার জন্য। এটা মোটেও করা ঠিক নয়। সর্বদা ভক্তিসহকারে মন্দিরে দেবতার পূজা করা উচিত। ভগবানকে ডাকার জন্য মন্দিরে গিয়ে ভগবানকে ডাকলেই পাওয়া যায় না বা শান্তি পাওয়া যায় না। তাঁর জন্য কিছু নিয়ম সঠিক ভাবে পালন করতে হয়।

অধিকাংশ মানুষ মন্দিরে গিয়ে পরিক্রমা করে থাকে। কিন্তু তথ্যের অভাবে প্রায় মানুষ সঠিক উপায়ে পরিক্রমা করে না, যা মোটেও উচিত নয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রের মতে পরিক্রমা করার সব সময় বাম হাত তারপর ডান হাতে করা উচিত। শিবলিঙ্গ প্রদক্ষিণ করার সময় মনে রাখতে হবে, যেখান থেকে জল প্রবাহিত হচ্ছে সেই স্থান কখনোই অতিক্রম করা উচিত নয়। মন্দিরে যাওয়ার সময় চামড়ার বেল্ট বা চামড়ার কোন পণ্য মন্দিরের ভেতরে বহন করা উচিত নয়।

এর পেছনে ধর্মীয় একটি কারণ আছে, পশুর চামড়া দিয়ে চামড়া তৈরি করা হয়। এই কারণে চামড়াকে অশুভ বলে মনে করা হয়। তাই পূজার স্থানে কখনোই চামড়া জিনিসপত্র ব্যবহার করা হয় না। এই ধরনের জিনিসকে নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। মন্দির স্থাপিত মূর্তিগুলোকে বিভিন্ন মন্ত দিয়ে আবাহন করা হয়ে থাকে। তাই ভগবানের রূপ থেকে একই শক্তি নির্গত হয় যে সাধারণ মানুষ অনেক সময় সহ্য করতে পারেনা। মন্দিরে কখনোই উচ্চস্বরে কথা বলা বা হাসাহাসি করা একদমই উচিত নয়। কারণ মানুষ মন্দিরে গিয়ে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে এবং সবকিছু ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র ভগবানই দিকে মনোযোগ দিতে চায়।