ভারতের প্রথম ডিজিটাল ভিখারি, খুচরোর সমস্যা মেটাতে গলায় ঝুলিয়েছেন QR কোড

আমরা হাটে বাজারে বিভিন্ন ভিক্ষুদের দেখতে পায়। সাধরনত এরা খুচরো পয়সা পেলেই খুশি হয়ে যায়। বিহারের এই রকমই একটা ভিক্ষুক খুব চর্চায় এসেছে। বিহারের বেতিয়া স্টেশনের বাসিন্দা 43 বছর বয়সী এই ভিক্ষুকটির নাম হচ্ছে রাজু পাটেল। স্থানীয় লোকেরা বলেন তিনি ছোটবেলা থেকেই এই স্টেশনে ভিক্ষা করেন। এই ভিক্ষুকের চর্চার কারণটি হচ্ছে এই ভিক্ষুকটি গলায় QR কোড ও হাতে ট্যাব নিয়ে ভিক্ষা করতে বসেন।

 

তিনি বলেন যে কোভিড মহামারীতে কাছে এসে কাছে কেও ভিক্ষা দিতে চাইনা। এছাড়াও কেউ কেউ বলেন যে খুচরো নেই। তাই তিনি এই সমস্যার সমাধান বের করেছেন। যদি কেউ বলে যে তার কাছে খুচরো নেই তখন তিনি তার গলার ঝোলানো QR কোডটি তাদের সামনে তুলে ধরেন এবং তাদেরকে ফোন পে , গুগোল পে করে দিতে বলেন। এতে তার আয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

কেউ কেউ তাকে এক টাকা থেকে 100 টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। যদিও ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় নথি আধার কার্ড প্যান কার্ড প্রয়োজন হয়। তার কাছে আধার কার্ড থাকলো প্যান কার্ড ছিল না। অনেক কষ্টে তিনি প্যান কার্ড করান। এরপর তিনি এস বি আই এর একটি শাখাতে একাউন্ট খোলেন।

তারপর তিনি ডিজিটাল ওয়ালেট করান এবং তিনি ওই qr-code গলায় ঝুলিয়ে ভিক্ষা করেন। ছোটবেলা থেকেই রাজু বেতিয়া স্টেশনে ভিক্ষা করেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সে মানসিকভাবে অসুস্থ। কিন্তু তার ভিক্ষা করার এই চমৎকার বুদ্ধিতে সবাই এক রকম ভাবে তার ফ্যান হয়ে গেছেন।

এখন লোকেরা যে শুধু তাকে যে ভিক্ষা দিচ্ছেন তাই নয় ; তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি পোস্ট করে এই অনন্য পদ্ধতি কে করেছেন প্রচার। অনেকের মতে তিনি বিহারের প্রথম ডিজিটাল ভিক্ষুক কিন্তু তিনি বলেন তিনি হচ্ছেন ভারতের প্রথম ডিজিটাল ভিক্ষুক।