সুনীল বশিষ্ট: সেই ডেলিভারি বয়, যিনি ২০০ টাকার কাজ ছেড়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন নিজর কোম্পানি

যেকোনো পরিস্থিতি আসুক না কেন মানুষের কখনই হার মানা উচিৎ নয়। এরকমই একটি হার না মানার গল্প হচ্ছে সুশীল বশিষ্ঠের। দিল্লির বাসিন্দা এই যুবকের পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল না। তাই দশম শ্রেণি শেষ করার পর তার বাবা মা তাকে জানিয়ে দেন যে এরপর তার পড়াশোনার সমস্ত খরচা তাকে নিজেকেই বহন করতে হবে।

তাই তিনি কুরিয়ার বয় হিসেবে কাজ করেন। অনেক কষ্ট করার পর তিনি 1998 সালে ডমিনো’স পিজাতে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু এই সময়ে তার জীবনে এমন এক মোড় আসে যার জন্য তাকে এই চাকরিটি ছেড়ে দিতে হয়। তার এই চরম পরিস্থিতিতে তিনি ঠিক করেন যে তিনি আর কারোর অধীনস্থ কাজ করবেন না। এরপর নিজের সঞ্জিত কিছু টাকা দিয়ে তিনি রাস্তা ধারে জলখাবারের একটা দোকান খোলেন।

কিন্তু তিনি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হন। ব্যর্থ হওয়ার পরও তিনি হার মানেননি। তার বন্ধুদের কাছে থেকে 60000 টাকা ধার নিয়ে তার ফ্লাইং কেক’ বেকারীটি শুরু করেন। তার এই কেক যেমন তাজা ছিল সাথে ছিল সুস্বাদু। এই কেক এর বিপুল চাহিদা শুরু হয়। আস্তে আস্তে অনেক কোম্পানি ও তার কাছ থেকে কেক নেওয়া শুরু করে। ব্যাবসা বাড়ার সাথে সাথে সুনীল কেকের অর্ডার নেওয়া শুরু করে।

তার এই কেকের বিশেষত্ব হচ্ছে এটি যেমন সুস্বাদু সেরকম দামেও কম। এরপর তিনি কেকের ডেলিভারিও শুরু করেন। এই জন্যই তার এই কেকের ব্যবসাটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়। তিনি দিল্লিসহ বিহার পুনে নয়ডা তে শাখা তৈরি করেন। তার টার্নওভার বর্তমানে কোটি টাকায় পৌঁছেছে। করোনা আবহে তার ব্যবসার প্রভাব ফেলেছিল কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে করোনা আবহে তার বাবসাতেও প্রভাব যথেষ্ট পড়েছিল। যেহেতু তিনি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কেক সরবরাহ করেন। এরপর তিনি কেকের পাশাপাশি নজর দেন পিজা ও বার্গারেও। তিনি বিভিন্ন স্থানে আউটলেট তৈরি করেন। তিনি তার সফলতার সমস্ত কৃতিত্ব তার মা-বাবাকে দেন। তিনি বলেন যে তারা যদি তাকে লেখাপড়া বন্ধ করতে না বলতেন তাহলে তিনি এত বড় একটি কোম্পানির মালিক হতেন না।