লকডাউনে শুরু করেছিলেন আচারের ব্যবসা, ননদ-বউদির হাতের স্বাদেই মজল গোটা দেশ

মুখরোচক, স্বাদবদল আর লোভনীয় খাবারের তালিকায় আচার থাকবে না, এটা যেন হতেই পারে না। খাওয়া তো দূর, আচারের নাম শুনলেই মানুষের জিভে জল চলে আসে। স্কুল, কলেজ হোক কিংবা অফিস, আদালত- আচার প্রেমী মানুষেরা আচারের দোকান দেখলেই, যেন চুম্বকের দিকে লোহার ন্যায় আকর্ষিত হওয়ার মত, আচারের দোকানের দিকে চলে যায়। তবে এই আচারের চল বিহারে খুব বেশিই দেখা যায়। আর তারউপর বিহারের মিথিলাঞ্চলে খাবারের পরে আচার খাওয়ার যেন একটা রীতিই রয়েছে। আর সেখানকার আচারের স্বাদও জগতজোড়া। সেখানকার প্রায় বাড়িতেই আচার তৈরি করা হয়।

সেই আচারের স্বাদ থেকেই ব্যবসা শুরু করলেন ৫২ বছর বয়সী গৃহবধূ কল্পনা এবং বছর ৫১-র বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা উমা ঝা। ‘ঝাজি আচার’ নামে বিহারের দারভাঙ্গা জেলায় একটি অনলাইন আচারের ব্যবসাও শুরু করে দিলেন তাঁরা। এরা আবার সম্পর্কে ননদ বউদি হন। লকডাউনে ঘরে বসেই নিজেদের আচারের ব্যবসা চালু করলেন তাঁরা। ২০২০ সালের অক্টোবরে ব্যবসার জন্য আবেদন করে, ২০২১ সালের জুনেই অনলাইন ব্যবসা শুরু করেন তাঁরা। www.jhajistore.com-নামে ওয়েবসাইট রয়েছে তাঁদের। দৈনিক প্রায় ১০০ টি অর্ডার পাচ্ছেন তাঁরা। যার ফলে বছরে প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারছেন তাঁরা।

এক সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানায়, তাঁদের জীবনে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে চললেও, লকডাউন জীবনের চাকা ঘুরিয়ে দেয়। হাসিখুশি সংসারে নেমে আসে টানাটানির দুর্দিন। উমার হাতের তৈরি আচারের স্বাদ সকলের ভালো লাগায়, এমন সময় এই ব্যবসাই ঘরে শুরু করার পরিকল্পনা করেন তিনি। তারপর উমা এবং কল্পনা দুজনে মিলে দেশীয় পদ্ধতিতে আচার তৈরির ব্যবসা শুরু করেন।

তাঁরা জানায়, ভিনেগার প্রিজারভেটিভ ছাড়াই আচার তৈরি করতে প্রায় ৮-৯ দিন সময় লেগে যায়। একসঙ্গে প্রায় ১০০০ কেজি আচার তৈরি করা হয়। তারপর তা ২৫০ গ্রামের শিশিতে প্যাক করা হয়। তারপর তা বাজারজাত করা হয়। বর্তমান সময়ে অনলাইনে তাঁদের ব্যবসা বেশ রমরমিয়েই চলছে। আবারও তাঁদের জীবনে ফিরেছে সুদিন।