দেশের দক্ষ ও প্রতিভাবান ব্যক্তিদের নাম গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে রাখা হয়। তাঁর মধ্যে বলিউড তারকাদের নাম প্রায়ই আসে। সেটা কাজে হোক, আয় হোক বা প্রমোশন সবকিছুতেই এগিয়ে থাকে বলিউড। চলুন দেখে নেওয়া যাক, এমন কয়েকজন বলিউড তারকার নাম, যাদের নাম গিনিস বুকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
শাহরুখ খান –
বলিউডের প্রথমে যে নামটি আসে তা হল কিং খান অর্থাৎ শাহরুখ খান। তিনি নিঃসন্দেহ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এবং প্রিয় বলিউড সেলিব্রেটিদের মধ্যে একজন। তিনি ২০১৩ সালে ২২০.৫ কোটি রুপি আয় করেছিলেন। তাই ফোর্বসের সর্বোচ্চ আয় হিসেবে তাঁর নাম গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে রাখা হয়েছে।
লতা মঙ্গেশকর –
লতা মঙ্গেশকরের নাম গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি ১৯৭৪ সালে সর্বোচ্চ ২৫০০০টি গানের রেকর্ডটি দখল করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁর নামটি গিনিস বুকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
আশা ভোঁসলে –
লতা মঙ্গেশকারের পরে তাঁর বোন আশা ভোঁসলে ২০০০ সালে সর্বাধিক একক গানের জন্য রেকর্ড করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁর নাম গিনিস বুকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই রেকর্ডটি দক্ষিণের গায়িকা পি সুশীলার নামে।
ক্যাটরিনা কাইফ –
শাহরুখ খানের পরে ২০১৩ সালে বলিউডের সর্বোচ্চ অর্থ উপার্জনকারী অভিনেত্রী হিসাবে নাম করেছেন বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। যার আনুমানিক মূল্য ছিল ৬৩.৭৫ কোটি টাকা। সেই কারণেই তাঁর নাম গিনিস বুক অফ ওয়াল্ডে রাখা হয়েছে। তিনি এখন বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন।
অমিতাভ বচ্চন –
বলিউডের বিগ বি নামে পরিচিত অমিতাভ বচ্চন। তাঁর ভারী কন্ঠ বলিউডে বেশ জনপ্রিয়। তিনি ১৯ জন জনপ্রিয় গায়কের সাথে হনুমান চল্লিশা গানের রেকর্ড করেছিলেন। সেই ১৯ জনের মধ্যে ছিল কৈলাস খের, প্রসূন জোশী, শান, শঙ্কর মহাদেব, সোনু নিগম, সুখবিন্দর সিং, সুরেশ ওয়াদকর, উদিত নারায়ণ প্রমূখ। গানটি সুর করেছিলেন শেখর রাভজিয়ানি। এই কারণে অমিতাভ বচ্চনের নাম গিনিস বুকে রাখা হয়েছে।
অভিষেক বচ্চন –
তাঁর বাবা অমিতাভ বচ্চনের মত অভিষেক বচ্চনের নামও গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ডএ রাখা হয়েছে। তবে বিগ বিএর বিপরীতে গান গাওয়ার জন্য নয়, বরং ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন শহরের সর্বাধিক প্রকাশ্যে উপস্থিত হওয়ার জন্য। আসলে তিনি তাঁর ছবি ‘দিল্লি6’ প্রচার করার জন্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিভিন্ন শহরে উপস্থিত হয়েছিলেন।