Zombie Virus: ৪৮ হাজার বছর পর আবারও জেগে উঠছে জম্বি ভাইরাস, ভারতেও কী পড়বে প্রভাব?
৪৮ হাজার বছর পর আবারও জেগে উঠছে
মহামারী (Epidemic) যে কি জিনিস তা গত দুই বছরে বুঝতে পেরেছে বিশ্বের মানুষ। সমগ্র বিশ্বকে গ্রাস করেছিল করোনা মহামারীর (Covid Pandemic)। ২০২০ থেকে শুরু হয়েছিল এই ভাইরাস (New Virus)। এই মহামারী দেখিয়েছে আপন মানুষের মৃত্যু, কাজ ছেড়ে যাওয়া, খাদ্যের অভাব। যদিও এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। তবে এরই মাঝে আরেকটি ভাইরাস উঁকি মারছে। নয়া এই ভাইরাসের নাম জম্বি ভাইরাস (Zombie Virus)। আজকের প্রতিবেদন থেকে এটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
বিশ্ব আসতে আসতে সেরে উঠেছ করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক থেকে। এরই মাঝে বিজ্ঞানীরা এক নতুন ভাইরাসের সন্ধান পেলেন। এই ভাইরাসের নাম দেওয়া হয়েছে প্যান্ডরাভাইরাস এডোমা (Pandoravirus Edoma)। এই খবর বিশ্ববাসীর কাছে খুবই আতঙ্কের। এটি খুবই বিপজ্জনক একটি ভাইরাস। যা বহু বছর ধরে রাশিয়ার (Russia) তুষারময় এলাকায় চাপা ছিল। প্রায় ৪৮ হাজার বছর আগে রাশিয়ার একটি হ্রদে চাপা পড়েছিল এই ভাইরাস। এখন বরফ গলার কারণে মাথা তুলতে পারে এই ভাইরাস। যা ভারতের জন্যও খুবই আতঙ্কের। তবে এ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করেননি।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চের (National Center For Scientific Research France) দল এক ডজন ভাইরাসের কথা জানিয়েছে। যেগুলি চাপা পড়ে আছে তুষারের মধ্যে। এখনো এই ভাইরাসগুলি বিশ্ববাসীর কাছে অজানা। এই তালিকায় রয়েছে জম্বি ভাইরাসের নামও। এই ভাইরাস ৪৮ হাজার বছরের পুরনো একটি ভাইরাস (48 Years Old Virus) । এর আগে ২০১৩ সালে এক দল বিজ্ঞানী একটি ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছিল। যা ৩০ হাজার বছরের পুরনো। বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) কারণে গলতে শুরু করেছে বরফ। এর ফলে বেরিয়ে আসতে পারে এই বিপজ্জনক ভাইরাস।
জম্বি ভাইরাসের প্রভাব পড়তে পারে ভারতেও (India)। তবে করোনা মহামারীর সময় থেকে এ দেশ মহামারী মোকাবিলায় শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। করোনা বিশ্বের মানুষকে যে পরিস্থিতির সম্মুখীন করেছিল, তা ভয়ানক। যদিও জম্বি ভাইরাসের অস্তিত খুঁজে পেলেও তা এখনই ছড়িয়ে পড়ছে না। কারণ তা এখনো বরফের নীচে। তবে সব দিক থেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে এ দেশ সহ বিশ্বের সকলকে। ভারত বিশ্ব উষ্ণনায়ন সম্পর্কে বার বার সতর্ক করে আসছে সমগ্র বিশ্বকে। এমনটিতে ভারত বিশ্ব উষ্ণায়নের কবলে রয়েছে। সমুদ্রে জলের স্তর বাড়ায় সুন্দরবনের অনেক অংশ চলে গিয়েছে জলের তোলে। তবে একই ভাবে বরফ গলতে থাকলে বিশ্বের মানুষ করোনা মহামারীর মতো জম্বি ভাইরাসের কবলে পড়বে।