তীব্র গরমে পাখিদের বাঁচাতে অভিনব পরিকল্পনা এই যুবকদের, যে কেউ হতে পারবে এই পরিকল্পনার অংশ

এখন ২০২২ এর মে মাসে চলছে। গোটা ভারতে গরম নিজের প্রকোপ বাড়িয়ে বেশ জাকিয়ে বসেছে। বিশেষ করে ভারতের কিছু কিছু রাজ্যে গরম একটু বেশি মাত্রাতেই পড়েছে। এই রাজ্য গুলির মধ্যে বিহার অন্যতম। বিহারের অবস্থা এখন এমন যে বাড়ি থেকে মানুষের বাইরে বেরোনো মুশকিল হয়ে উঠছে। তাহলে ভাবুন সেখানের পশু-পাখির অবস্থা কেমন হয়ে আছে এবং পশু-পাখিদের জন্য একেকটা দিন কাটানো কত মুশকিল হয়ে উঠেছে।

আমরা গরম থেকে বাঁচার জন্য তো অনেক ধরনের উপায় বার করেনি কিন্তু পশু-পাখিরা তো সেটায় করতে পারে না। যেখানে সবচেয়ে বেশি গরমে কষ্ট পশু- পাখিদের হয়। তবে বিহারের জমুই জেলার কিছু যুবক শুধু নিজেদের কথা না ভেবে পশু-পাখিদের কথাও ভেবেছে। আসুন জেনেনি পুরো বিষয়টি।জমুই জেলার যুবকরা পাখিদের জল ওখাবার খাওয়ানোর একটি নতুনত্ব প্রচার শুরু করেছে। কারণ সবজায়গায় মতো জমুইতেও অন্যবারের তুলনায় গরম বেশি মাত্রায় পড়েছে।

এই বারে জমুইয়ের তাপমাত্রা প্রায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।যুবকদের পশু-পাখিদের খাওয়ানোর বিষয়টি দেশে বেশ আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। এছাড়া এই যুবকরা এই কাজের জন্য বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। চাকরি ও পড়াশোনা থেকে সময় বের করে এই যুবকরা প্রতিদিন কোনো না কোনো গ্রামে বা এলাকায় যায় এবং গাছে গাছে পাখিদের জন্য পানির পাত্র ঝুলিয়ে রাখে বা নিরাপদ কোনো স্থানে পাত্র রেখে দেয়।

 

এই প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত পাখিদের যেন কষ্ট না হয় সেই জন্য বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মাটির পাত্রে জল ও খাবার ঝুলিয়ে রাখছে তরুণ-তরুণীরা। এছাড়া তারা মানুষদেরকেও এই কাজ করার কথা প্রচার করছে।শুরুর দিকে এই যুবকরা শহরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানের গাছের ডালে জল ও খাবারের পাত্র ঝোলাতো। এরপর তাদের এই অভিযান শহরে সফলতা পায় তারপর থেকে সরকারি ভবনের ছাদে ও স্কুল-কলেজের ছাদে জলের পাত্র ও খাবার রাখা শুরু হয়।

এরপর এই অভিযান তারা গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। গত তিন সপ্তাহ ধরে চলা এই অভিযানে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষরা যুক্ত হচ্ছে বলে জানায় যুবকরা। এছাড়া তারা আরো জানায় যে তারা তাদের কাজ একদম সকাল সকাল শুরু করে দেন।সেই দলের উদ্যোক্তা বিবেকের মতে, দলে কর্মরত প্রতিটি যুবক তাদের নিজস্ব জলের বোতল নিয়ে আসে এবং প্রতিদিন ২ ঘন্টা কাজ করে।

কেউ যদি পাত্রে জল না ভরে তাহলে তিনি নিজে গিয়ে ভরে দেন। পশুদের প্রতি তরুণদের ভালোবাসা দেখে অন্যরাও তাদের এই অভিযানে সহযোগিতা করছেন। গ্রীষ্মকালে পাখিরা যাতে খাবার ও জল পায় সেজন্য স্থানীয় লোকজন তাদের বাড়ির ছাদে জল ও খাবার রাখা শুরু করেছে। এই যুবক দলের অন্যতম সন্তোষ কুমার নামে এক ব্যক্তি বলেছেন, গ্রীষ্মকালে পাখিদের খাবার ও পানি দেওয়া শুধু মানবতার কাজ নয়, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।