ভুলে যান চাকরির চিন্তা! মাত্র ২ মাসের এই কোর্স করেই বাজিমাত, ঘরে বসেই বার্ষিক আয় করতে পারবেন ৫ লাখেরও বেশি

আজকালকার জেনারেশনের ছেলে মেয়েরা সকাক ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টার চাকরির থেকে বেশি স্টার্টআপ বা ব্যবসার প্রতি উৎসাহ দেখছে। সম্প্রতি এমন অনেক ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে আজকাল সবাই তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের স্টার্টআপ শুরু করেছে এবং দুর্দান্ত সফলতা অর্জন করেছে। আপনিও যদি নিজের স্টার্টআপ ব্যবসা খোলার কথা ভাবছেন (business idea) তবে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনার জন্য। আজ আমরা আপনাকে এমন একটি স্টার্টাপের আইডিয়া (business idea) দিতে চলেছি যেই ব্যবসা (business) করলে আপনি খুব শীঘ্রই লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। আসুন এই ব্যবসার (business) বিষয় বিস্তারিত জেনেনি।
জানিয়ে দি আমরা যেই বিজনেস আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করতে সেই ব্যবসা এক মহিলা নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে শুরু করেছিল এবং আজ সে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। এই মহিলার নাম হলো মনিতা কেরম (Monita kerom)। ইনি এগ্রিকালচার নিয়ে গ্রাজুয়েশন করার পর একটি কোম্পানিতে চাকরি করতে ঢুকেছিলেন। কিন্তু চাকরি করতে ভালো না লাগায় মনিতা কেরম (Monita kerom) সেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর মনিতা বেকার বাড়িতে বসে ছিলেন না তিনি ২ মাসের একটি ট্রেনিং কোর্স জয়েন করেছিলেন। ট্রেনিং পূরণ হওয়ার তিনি নিজের ব্যবসা শুরু করেন ও আজ তিনি বছরে প্রায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
ছত্রিশগড়ের বালোদ জেলার বাসিন্ধা মনিতা ভারত সরকারের কৃষি ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় দ্বারা চালিত স্কিমের লাভ নিয়েছিলেন। তিনি এগ্রি ক্লিনিক ও এগ্রি বিজনেস কেন্দ্র অভিযানের অধীনে ইন্ডিয়ান সোসাইটি অফ এগ্রি-বিজনেস প্রোফেসনাল থেকে দুই মাসের ট্রেনিং নিয়েছিলেন। টেনিংয়ে মনিতা এন্টারপ্রাইজেসে ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টের প্রিন্সিপালস, একাউন্টেসীর বেসিক জানকারী,মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট, এন্ট্রোপ্রোনরশিপ ডেভেলপমেন্ট, কমিউনিকেশন স্কিল ও প্রজেক্ট প্ল্যানিংয়ের জানকারী অর্জন করেছে।
দুই মাসের ট্রেনিং পুরো হওয়ার পর মনিতা ২৫০০০ টাকা দিয়ে মাশরুমের চাষ (Mushroom Cultivation) শুরু করেছিল। তিনি তার ১০x১০ বর্গফুট কাঁচা মাটির বাড়িতে মাশরুম ফার্মিং শুরু করে। তিনি মাশরুম ব্যাগ বানানোর জন্য কম খরচার স্ট্রিং ওয়ে প্রণালীর ব্যবহার করে। লোকাল মার্কেটে গেহু/ধান-এর খরকে সতর্কতা জীবাণুমুক্ত করে ও বাজারে সহজে পাওয়া স্পন যুক্ত করে। কম্পোস্টকে (Compost)-কে সমান স্তরে বিভক্ত করে এবং প্রতিটি স্তরে স্পন ছড়িয়ে দেয়। এর পরিনামস্বরূপ আলাদা আলাদা স্তরে স্পনিং হয়। মাশরুম (Mashroom) ৩০-৩৫ দিনে তৈরি হয়ে যায়। একটি ফসলে ৮-১০ সপ্তাহে ক্রপিং সাইকেলে প্রতি বর্গ মিটারে ৮ কিগ্রা ফলন হয়।
মনিতা বছরে মাশরুম ফার্মিং (Mashroom farming) করে প্রায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। অয়েস্টার মাশরুম চাষ (Mashroom farming) করে তিনি বাম্পার মুনাফা আয় করছে। মনিতা মাশরুম চাষের সাথে সাথে কন্সাল্টেন্সির কাজ করে। এনার সাথে ৫ টি গ্রামের ১৫০ টির বেশি কৃষক জড়িত রয়েছেন। মাশরুম চাষ আজকের সময় সবচেয়ে ভালো মুনাফা দায়ক এগ্রি ব্যবসা। এই ব্যবসা অত্যন্ত কম খরচা ও অল্প জায়গায় মধ্যে ট্রেনিং নিয়ে শুরু করা সম্ভব। অয়েস্টার মাশরুম তৃতীয় সবচেয়ে বড় চাষ করা মাশরুম।