আমেরিকা শীর্ষ ধনী ব্যক্তিরা একদিনে হারালেন ২.২৭ লাখ কোটি টাকা , তিন নম্বরে নেমে গেলেন জেফ বেজোস

গত বুধবার আমেরিকার শেয়ার বাজারে পতন ঘটেছে। এর ফলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় টপ ১০-এ থাকা আমেরিকার ধনী ব্যক্তিদের নেটওয়ার্থ ২৭.৫৪ বিলিয়ান ডলার অর্থাৎ ২.২৭ লাখ কোটি টাকা কমে গেছে। আমাজন কোম্পানির মালিক জেফ বেজোসের নেটওয়ার্থ-এ গত বুধবার প্রায় ৪.৩৯ বিলিয়ন ডলারের পতন ঘটেছিল ও তিনি তৃতীয় স্থানে নেমে গেছিলেন।

ব্লুমবার্গ বিলিনেয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী এনার নেটওয়ার্থ হলো এখন ১৩৯ বিলিয়ন ডলার। এই বছর তার নেটওয়ার্থে ৫৩.৭ বিলিয়ন ডলারের ঘাটটি হয়েছে। ফ্রান্সের ব্যবসায়ী বার্নার্ড আর্নল্ট পৃথিবীর ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেছেন। বুধবার তার নেটওয়ার্থ ২.১১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গেছে। তবে এই বছর তার নেটওয়ার্থে ৩৩.১ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি হয়েছে।

Share

এছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এলন মাস্কের নেটওয়ার্থে গত বুধুবার ১.৫৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি ঘটেছিল যার ফলে তার সম্পত্তির পরিমান এখন ২১১ বিলিয়ন ডলার। এমনিতে টেসলা এবং স্পেসএক্স-এর সিইও-র নেটওয়ার্থ এই বছর ৫৮.৯ বিলিয়ন ডলার কমেছে। আর মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের মোট সম্পদ ১.৫৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে এবং ওয়ারেন বাফেটের মোট সম্পদ ১৯৯ মিলিয়ন কমেছে। একইভাবে ল্যারি পেজের মোট সম্পদ ৭.৬৬ বিলিয়ন ডলার কমেছে, সের্গেই ব্রিনের ৭.২৬ বিলিয়ন ডলার কমেছে এবং স্টিভ বলমারের নেটওয়ার্থ থেকে ৬১.৫ বিলিয়ন ডলার কমেছে।

World's top richest people

দীপাবলি বালিপ্রতিপদ উপলক্ষে বুধবার ভারতীয় শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। এই কারণে মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানির মোট সম্পদের মূল্যে কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু এখন আম্বানি বিশ্বের ধনীদের তালিকায় দশ নম্বরে পৌঁছেছেন। এর কারণ ছিল বালমার ১১ নম্বরে নেমে গেছেন। জানিয়ে দি যে মুকেশ আম্বানির নেটওয়ার্থ হলো ৮৩.৫ বিলিয়ন ডলার।এই বছর তার মোট সম্পদ ৬.৫০ বিলিয়ন ডলার কমেছে। অন্যদিকে, গৌতম আদানির ১২২ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি রয়েছে এবং টপ ১০-এর তালিকায় তিনি ৪ নম্বরে রয়েছেন। এই বছর তার মোট সম্পদ ৪৫.৮ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সময় ধনীদের তালিকায় দুই নম্বরে উঠেছিলেন তিনি।