মিঠুন চক্রবর্তীকে যমের মতন ভয় পান শক্তি কাপুর! কারণ শুনলে মহাগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা বাড়বে আপনারও

টলিউড কিংবা বলিউড, বিনোদন দুনিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সেই যুবক বয়স থেকে শুরু করে এই বৃদ্ধ বয়সে, আজও সিলভার স্ক্রীনে তাঁকে দেখার হিড়িক পড়ে যায়। তাঁর চলচ্চিত্র হলেই, তা সুপারহিট। তবে জানেন কি মিঠুন চক্রবর্তীকে যমের মতন ভয় পেতেন পর্দার দাপুটে খলনায়ক শক্তি কাপুর (Shakti Kapoor)!
একসঙ্গে প্রায় শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী এবং শক্তি কাপুর। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ছাত্র ছিলেন শক্তি কাপুর। আর ওই কলেজেই একবছরের সিনিয়র ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। পড়াশুনায় ভালো থাকার কারণে, পড়া শেষ করে ওই কলেজেরই শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি। আর এখানেই হয় যত সমস্যা।
এক সাক্ষাৎকারে শক্তি কাপুর জানিয়েছিলেন, ছাত্রাবস্থায় একবার রাকেশ, বিনোদের সঙ্গে একটি ফোর্ড গাড়িতে চেপে কলেজ যাচ্ছিলে শক্তি কাপুর। সেখানে গিয়ে দেখেন, কলেজের গেটে ছেঁড়া লুঙ্গি পরিহিত বিশাল চেহারার এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে। হাতে থাকা বিয়ারের বোতল ওই ব্যক্তির দিকে এগিয়ে দিতেই, শক্তি কাপুরের জীবনে ঘনিয়ে আসে অন্ধকার।
সিনিয়রকে সুরাপানের জন্য অফার করায়, শক্তি কাপুরের চুলের মুঠি ধরে টেনে ওই ব্যক্তি তাঁকে বলে, ‘কেন সাহসে এক বছরের বড় সিনিয়রকে মদ্যপানের জন্য অফার করছ?’ এরপর শক্তি কাপুরকে সেখান থেকে একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই দলে ছিল বিজয়েন্দ্র ঘাটগের মত তারকারাও। তাঁরা সকলে মিলে শক্তি কাপুরের চোখে মুখে জল ছিটিয়ে দিয়ে তাঁর লম্বা চুল কেটে দেওয়ার পর তাঁকে রাতেই সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে বাধ্য করে। সেইসঙ্গে বলে, কোনদিন তাঁকে যেন সুরাপান করতে দেখা না যায় এবং সিনিয়রদের সঙ্গে যেন ভদ্রব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর সেখানে মিঠুন চক্রবর্তী উপস্থিত হয়ে তাঁকে বাঁচিয়ে তাঁর ভুল বুঝিয়ে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। তারপর থেকে তাঁরা দুজনে একই হোস্টেলে থাকতেন এবং শক্তি কাপুরকে না খাইয়ে মিঠুন চক্রবর্তী খাবার খেতেন না। এই বিষয়ে শক্তি কাপুর জানান, ‘আমি কারো কথা না শুনলেও, মিঠুনের বলা কথা একবাক্যে পালন করি। মিঠুন যদি আমার গালে চড়ও মারে, তাহলে আমি কিছুই মনে করব না’।